• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৬, ২০১৯, ০৭:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৬, ২০১৯, ০৭:২২ পিএম

ঈদ যাত্রা

ভাড়া নৈরাজ্য অব্যাহত, অসহায় সড়ক-সেতু মন্ত্রণালয়

ভাড়া নৈরাজ্য অব্যাহত, অসহায় সড়ক-সেতু মন্ত্রণালয়

ঈদের আগে তো ছিলোই, ঈদের পরেও অব্যাহত রয়েছে দূরপাল্লার পরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য। রাজধানী থেকে বাইরে যেতে এখনও দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। ‘কেন দ্বিগুণ’ এর সঠিক কোনও ব্যাখ্যা নেই রাজধানীর সায়েদাবাদ ও গাবতলী টিকেট কাউন্টারের বিক্রেতাদের কাছে। তবে জানা গেছে, এটা মালিক সমিতির নির্দেশ।

সরকারি ছুটি শুরুর আগের দিন সোমবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সেতু মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের এবারের ঈদ যাত্রা সম্পূর্ণ স্বস্তিদায়ক হয়েছে, যা ইতিহাসে আর কখনও হয়নি। ভাড়া নৈরাজ্য নিয়ে সাংবাদিকদের সরেজমিন রিপোর্টের তথ্য উল্লেখ করে প্রশ্ন করা হলে সেতু মন্ত্রী বলেন, পরিবহন মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, এ সময় তাদের অনেক বাড়তি খরচ হয়, যাত্রীদের চাপে বাস ভাড়া করে আনতে হয়, এ সব কারণে ভাড়া বেড়ে যায়।

এ সময় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এক শ্রেণির ক্ষতাধরদের কারণে পরিবহন সেক্টর থেকে নৈরাজ্য দূর করা যাচ্ছে না। 

মন্ত্রীর বক্তব্যে এক ধরনের অসহায়ত্ব ফুটে ওঠে। ঈদের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঢাকার গুলিস্তান বিআরটিসি কাউন্টার থেকে থেকে খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, কল্যাণপুর ও গাবতলী থেকে খুলনা, যশোহর, বেনাপোল, গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর ও রাজশাহী যেতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার সাধারণ টিকেট বিক্রয় হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মূল্যে। দেড় থেকে দ্বিগুণ দামে টিকেট বিক্রয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠছে এনা পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন ও হানিফ পরিবহনের বিরুদ্ধে। এই তিনটি পরিবহনের ভাড়া রৈাজ্য নিয়ে হাজারো অভিযোগ উঠলেও এসব দেখার বা নজরদারি করার কাউকেই পাওয়া যায়নি।

গুলিস্তান থেকে খুলনাগামী টুঙ্গিপাড়া পরিবহনও অপ্রতিরোধ্য। ৫০০টাকার টিকেট বৃহস্পতিবার ৭০০ টাকায় বিক্রয় করতে দেখা যায়। তবে এ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কেউই কথা বলতে রাজি হননি। ঈগল পরিবহন ও সোহাগ পরিবহন বিআরটিসির মতই সুযোগ বুঝে ১০০ টাকা বাড়িয়েছে প্রতি টিকেটে। ১০০ টাকা করে বাড়িয়েছে রংপুর-গাইবান্ধা-দিনাজপুরগামী এসআর পরিবহন ও আল হামরা পরিবহন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী দৈনিক জাগরণকে বলেন, আমাদের নির্ধারিত কর্মকর্তারা প্রতিটি টারমিনালে কাজ করছেন। তাদের দেয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পরিবহনগুলোর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, অনেকেই আমাদের কাছে এসব বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। আমরা সজাগ আছি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কিন্তু প্রতিকারের কোনও আশ্বাস বা ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগের কথা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। 

এমএএম/এসএমএম