• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০১৯, ১১:২১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৪, ২০১৯, ১১:২৯ এএম

ঢাকা-সিলেট রেল ও সড়কপথ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে যাত্রীরা

ঢাকা-সিলেট রেল ও সড়কপথ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে যাত্রীরা


ঢাকা-সিলেট-মৌলভীবাজার মহাসড়ক বন্ধ প্রায় এক সপ্তাহ। এ মহাসড়কের শাহবাজপুরে অবস্থিত একটি সেতু ভেঙে যাওয়ার পর তা মেরামতের জন্য গত মঙ্গলবার থেকে মহাসড়কটি বন্ধ রেখেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ। 

মহাসড়ক বন্ধ থাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকা থেকে সিলেট ও মৌলভীবাজারগামী যাত্রীরা ভিড় করেছিলেন রেলপথে।কিন্তু গতকাল রোববার মধ্যরাতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় একটি সেতুতে সিলেট থেকে ঢাকামুখী উপবন এক্সপ্রেসের চারটি বগি কালভার্ট ভেঙে লাইনচ্যুত হয়। এর ফলে বন্ধ হয়ে পড়ে সিলেটের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগও। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন দুই শতাধিক যাত্রী। এই দুর্ঘটনার পর থেকেই সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।   

এদিকে ঢাকার সঙ্গে সিলেটের রেল ও সড়ক উভয় যোগাযোগই বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। মহাসড়ক বন্ধ থাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে যাত্রীদের চাপ বেড়েছিলো রেলপথের উপর। এখন রেলপথও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ এখন চরমে।

সিলেট রেল স্টেশনের সহকারী মাস্টার রাসেল আহমদ বলেন, মহাসড়কের সেতু ভেঙে যাওয়ায় সাধারণ যাত্রী থেকে শুরু করে ভিআইপিরাও ট্রেনে করে গন্তব্যে যেতে স্টেশনে ভিড় করছিলেন।  
 
এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শাহবাজপুরে তিতাস নদীর ওপর থাকা জরাজীর্ণ সেতুর ভেঙে যাওয়া একাংশের মেরামত কাজ ৬ দিন পরও শেষ হয়নি। সিলেটের সঙ্গে ঢাকার বাস, ট্রাক সরাসরি চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য ডেলিভারি যেমন বন্ধ রয়েছে, তেমনি কাঁচামালও সময় মতো পৌঁছাচ্ছে না। এ কারণে এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন অনেক কমে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নির্মাণ সামগ্রী বালু, রড, সিমেন্ট না পৌঁছানোয় নির্মাণ কাজ আটকে রয়েছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো সূত্রে জানা গেছে, এতে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।

ভুক্তভোগী অনেকে বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটিকে সেভাবে গুরুত্ব দিলে এতটা সময় লাগার কথা ছিল না। উন্নত দেশ হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান হয়ে যেত। গাড়ির চালকরা জানিয়েছেন, সেতুর মেরামত কাজ করা হচ্ছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। বিকল্প পথে যেতে দেয়া হচ্ছে শুধু হালকা যানবাহনকে।

এইচএম/আরআই