• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০১৯, ০৭:৩০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৬, ২০১৯, ০৭:৩০ পিএম

ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সুপারিশ

ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সুপারিশ
ট্রেনে ঈদযাত্রা - ফাইল ছবি

ভাঙাচোরা সড়ক, ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথ, দীর্ঘ যানজট, দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চালানোর কারণে প্রতি ঈদের মতো এবারও ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হবে- এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। সংগঠনটি বলেছে, এবারের ঈদযাত্রার বহরে ৪ কোটি যাত্রীর ১২ কোটি ট্রিপ সামাল দিতে সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথ প্রস্তুত নয়। 

শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘ঈদুল আজহার যাত্রা প্রস্তুতি : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় উদ্ধারকর্মীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়। সংগঠনের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জিএম কামরুল ইসলাম এসপিপি যাত্রী ভোগান্তি, দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা কমাতে ২০ দফা সুপারিশ করেন।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমান সরকারের আমলে রেলওয়েতে বিপুল বিনিয়োগের পরও ট্রেনের গতি পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায় কম। অনেক সেতুর আয়ুষ্কাল শেষ হলেও নতুন সেতু নির্মিত হয়নি বলে কয়েক বছর ধরে রেলের দুর্ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। নিরাপদ ট্রেন পরিচালনায় রেলপথে পর্যাপ্ত পাথর থাকলে ট্রেনের ঝুঁকি কমে, অথচ রেল ট্র্যাকের আধুনিকায়নে নানা প্রকল্প নেয়া হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো শর্তানুযায়ী পাথর ব্যবহার করে না।

রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিয়া জাহান বলেন, সরকার এরইমধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। এই প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে রেলপথে নিরাপদ যাত্রী সেবা দেয়া সম্ভব হবে। 

সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ খোকন বলেন, ঈদকেন্দ্রিক যে দুর্ঘটনা হয় সেগুলোর জন্য শুধু চালকরা দায়ী না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্য বিষয়গুলোও দায়ী থাকে। 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী বলেন, রেল প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের সমন্বয়হীনতা, প্রকৌশল বিভাগের অব্যবস্থাপনা, ১০০ থেকে ১৫০ বছরের পুরনো রেলসেতু, দীর্ঘ বছরের মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন, পাথরহীন রেলপথ, সংস্কারহীন পুরনো রেললাইনের কারণে রেলপথে ঝুঁকি ক্রমে চরম আকার ধারণ করেছে। 

যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সুপারিশের মধ্যে রয়েছে -
সড়ক-মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতসহ জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে যানজটমুক্ত রাখা, রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটির ব্যবস্থা করা, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেল স্টেশনে শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার-মালিক-শ্রমিক-যাত্রী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ভিজিলেন্স টিম গঠন, সড়কের পাশে কোনো পশুর হাট ইজারা না দেয়া এবং সড়কের অস্থায়ী বাজার অপসারণ, লক্কড়-ঝক্কড় ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লঞ্চ চলাচলে নিয়ন্ত্রণ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, যানজট নিরসনে সড়ক-মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানের গ্যাপ যৌক্তিকভাবে কমিয়ে আনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রবণতা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রভৃতি। 

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ফেলানী হত্যা মামলার আইনজীবী অ্যাড. আব্রাহাম লিংকন, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল যুবায়ের, অর্থ সম্পাদক সায়মুন নাহার জিদনী প্রমুখ।

টিএস/ এফসি