বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চলতি অর্থবছরে (২০১৮-২০১৯) ২৭২ কোটি টাকা লাভ করেছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেছেন, বিমানকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার পাশাপাশি যাত্রী সেবার মান-উন্নয়ন করা হবে।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সিভিল অ্যাভিয়েশন বা বিমানে দুর্নীতিতে কোনও ছাড় দেয়া হবে না। জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন থেকে আন্তর্জাতিক আগমনি যাত্রীদের প্রথম ‘ব্যাগেজ’ ফ্লাইট অবতরণের ১৬ মিনিটে এবং শেষ ‘ব্যাগেজ’ ৬০ মিনিটের মধ্যে ব্যাগেজ বেল্টে প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে। ব্যাগেজ একই ফ্লাইটে না আসলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স নিজ উদ্যোগে যাত্রীর বাড়িতে তা সংগ্রহ করে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবে। এ বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিমান এখন আর আগের অবস্থানে নেই। একসময়ের চরম লোকসানে থাকা বিমানকে এখন লাভে আনা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানকে আরও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে। যাত্রী সেবার মান আগের চেয়ে উন্নয়ন করা হয়েছে। এ বছর (২০১৮-২০১৯) বিমানে আয় হয়েছে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। ব্যয় ৫ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা। মোট লাভ হয়েছে ২৭২ কোটি টাকা।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছেন সিভিল অ্যাভিয়েশন হোক কিংবা বিমানই হোক, দুর্নীতিতে কোনও ছাড় দেয়া হবে না। অপরাধ বা দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে। নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ বিমানে দুদকের তদন্তে মন্ত্রণালয় কোনও বাধা দেবে না বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
এমএএম/এসএমএম