• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০১৯, ০৫:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৩, ২০১৯, ০৫:১৮ পিএম

ঈদে নৌপথে নিরাপদ যাতায়াতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির ২০ দফা 

ঈদে নৌপথে নিরাপদ যাতায়াতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির ২০ দফা 

পবিত্র ঈদুল আযহায় নৌপথে যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণের নিরাপদ ও হয়রানীমুক্ত যাতায়াত নিশ্চিত করতে ওভারলোড কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা, লঞ্চ ও খেয়াঘাটে ইজারাদারের দৌরাত্ম্য বন্ধ করাসহ ২০ দফা প্রস্তবনা দিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী শনিবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রস্তাবনা দেন। 

তিনি বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী বহনের পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের নামে প্রতিবছর ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছে নৌ-পথের যাত্রীরা। কেবিনের টিকিট কালোবাজারীদের হাতে তুলে দিয়ে কয়েকগুণ বাড়তি দামে বিক্রির খবর ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে আসতে শুরু করেছে। এহেন অসাধু তৎপরতা জরুরি ভিত্তিতে বন্ধের দাবি জানান। 

সংগঠনের প্রস্তাবনায় বলা হয়, দুর্যোগপূর্ণ ভরা বর্ষা মৌসুমের এই সময়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নৌ-পথে ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা না গেলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। প্রস্তবনার মধ্যে রয়েছে- যাত্রীবাহী সকল প্রকার নৌযানে ওভারলোড বা অতিরিক্ত যাত্রীবহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, সকল নৌ-বন্দর, লঞ্চঘাট, খেয়াঘাটে ঘাটভাড়ার নামে ইজারাদারের দৌরাত্ম, অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধ করা, সকল নৌ-বন্দর ও লঞ্চঘাটে অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টি, প্রতারকচক্র, কুলিদের দৌরাত্ম বন্ধ করা, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে উপকুলীয় অঞ্চলে, হাওর ও পাহাড়ি জনপদে অবৈধ, অনিবন্ধীত, ফিটনেসবিহীন, ঝুঁকিপূর্ণ নৌ-যান চলাচল নিষিদ্ধ করা, শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ি ও পাঠুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-পথে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোডসমূহে অতিরিক্ত যাত্রীবহন  নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল নিশ্চিত করা। সকল নৌ-বন্দর ও লঞ্চঘাটে পুলিশ, র‌্যাব, কোষ্টগার্ড ও আনসার বাহিনী মোতায়েন করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গুরুত্বপূর্ণ নৌ-বন্দরসমূহ ও লঞ্চঘাটে সিসিটিভি স্থাপন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নৌপথে সকল প্রকার অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, যাত্রী হয়রানী ও ভাড়া নৈরাজ্য প্রতিরোধে সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তর, বিআইডাব্লিউটিএ, ভোক্তা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা। 

সকল লঞ্চটার্মিনাল ও নৌ-বন্দরের গণশৌচাগার ও অজুখানায় পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থাসহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। ভাড়া নৈরাজ্য ও টিকিট কালোবাজারী বন্ধ করা। টিকিট দিয়ে ভাড়া আদায় নিশ্চিত করা। ঈদযাত্রার সময়কালে রাতের বেলায় সকল প্রকার বালুবাহী ও পণ্যবাহী লঞ্চ চলাচল নিষিদ্ধ করা।সদরঘাট থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত রাস্তা ও ফুটপাত যানজট ও দখলমুক্ত করা। রাতের বেলায় স্পিডবোড চলাচল বন্ধ রাখা। স্পিডবোডের যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধান নিশ্চিত করা। লঞ্চের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে  বয়া, বাতি ও মার্কিং ব্যবস্থা করা। প্রতিটি লঞ্চে লাইফ জ্যাকেটসহ যাত্রী অনুপাতে অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিশ্চিত করা। প্রতিটি লঞ্চে লাইসেন্সধারী প্রশিক্ষিত ও দক্ষ চালক, সারেং রাখার বিষয় নিশ্চিত করা।
টিএস/বিএস 
 

আরও পড়ুন