ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে বিলম্বে ছাড়ছে ট্রেন। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক থেকে তিন ঘণ্টা বিলম্বে বেশির ভাগ ট্রেন ছাড়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘুরে দেখা মিলেছে এমন চিত্র।
ঘরে ফেরার জন্য উন্মুখ হাজার হাজার মানুষ ট্রেনের অপেক্ষায় সকাল থেকে প্ল্যাটফর্মে বসে আছেন। কেউ একটি, কেউবা দুটি ব্যাগসহ সঙ্গে স্ত্রী সন্তান বা মা বাবাকে নিয়ে ট্রেনের অপেক্ষা করছেন। সবার একটাই চিন্তা- কখন ছাড়বে ট্রেন! রাজশাহীগামী ধুমকেতুর যাত্রী আরিফুল হক বলেন, পরিবারে সদস্যদের নিয়ে বাসে যাওয়া কষ্ট কর। তাই ১০ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ৩০ জুলাই টিকিট কেটেছি। আজ বাড়ি যাচ্ছি। তবে সকাল ৬টার ট্রেন সাড়ে ৮টা বাজলেও ছাড়েনি। অবশ্য পৌনে ৩ ঘণ্টার পর ট্রেনটি ৮টা ৪৮ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
জানতে চাইলে ধুমকেতুর টিকিট মাস্টার মনিরউজ্জামান বলেন, ট্রেনটি কমলাপুর পৌঁছতেই দেরি করেছে। ফলে ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে।একইভাবে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস দেড় ঘণ্টা বিলম্বে সকাল সোয়া ৮টায় কমলাপুর ছেড়েছে। ট্রেনটি ৬টা ২০ মিনিটে কমালাপুর থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে ছাড়ার কথা ছিল। চিলাহাটীগামী নীলসাগর ৮টায় ছাড়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে ছাড়েনি। ট্রেনটি সকাল সাড়ে ১০টায় ছাড়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
শেরপুরগামী মহুয়া এক্সপ্রেস একঘণ্টা বিলম্বে সকাল ৯টায় কমলাপুর থেকে ছেড়েছে।
রেলওয়ে সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মোট ৩৭টি ট্রেন কমলাপুর থেকে সারাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা। তার মধ্যে সকাল ৯টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে ১২টি ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।
এইচএস/এসএমএম