• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০১৯, ০১:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১০, ২০১৯, ০১:৩৬ পিএম

পরিবহনে নৈরাজ্য-চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

পরিবহনে নৈরাজ্য-চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
যাত্রী কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলন

ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানী বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। একইসঙ্গে ফিটনেসেবিহীন যানবাহন ও অদক্ষ চালক অপসারন করে নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও দুর্ঘটনামুক্ত ঈদ যাত্রা নিশ্চিতসহ ঈদের আগে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। 

শনিবার (১০ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ঈদযাত্রায় ভাড়া নৈরাজ্য,যাত্রী হয়রানী, ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এমন দাবি জানানো হয়। 

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, রেলপথে টিকিট কালোবাজারী ও শিডিউল বিপর্যয়ের কাণে অবর্নণীয় দুর্ভোগে পড়ছে বেশিভাগ ঘরমুখো যাত্রীরা। সড়ক পথে ফিটনেসবিহীন ট্রাকে পশু বহন, ফিটনেবসিহীন বাসে যাত্রী বহনের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে।একদিক বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের কারণে যানবাহনের গতি কমায় ধীরগতির কারণে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে থেকে থেকে যাবাহন চলছে, অন্যদিকে মানবসৃষ্ট দুর্ভোগে নিরসনে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইডি মহোদয়ের কড়া নির্দেশনা উপক্ষে করে পথে পথে পশুবাহী ট্রাক থামিয়ে পুলিশ ও বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি হচ্ছে। এর কারণেও কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। 

বলা হয়েছে, নৌ পথে বৈরি আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন লঞ্চঘাটে যাত্রী ও মালামাল পারাপার ব্যবত হচ্ছে। ফলে নৌ পথের যাত্রীর ৮-১২ ঘণ্টায় অপেক্ষার পর ফেরি পারাপার হচ্ছে। এর ফলেও রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ পথে প্রতিটি ঈদের মতো এবারো চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি দামে টিকিট কিনে যাত্রীদের বাড়ি যেতে হচ্ছে। 

সড়ক, নৌ ও রেল পথে বাড়তি ভাড়া বন্ধে ভ্রামমান আদালত টিম থাকলেও আকাশ পথে তেমন কোন প্রতিরোধ টিম না থাকায় আকাশ পথে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ঈদ এলে সকল পথেই ভাড়া ডাকাতি শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

প্রধান অতিথি গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ আহমেদ সাকী বলেন, পরিবহন খাতে ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি চললেও বর্তমান সরকারের বিগত ১১ বছরে ২২টি ঈদে এ খাতে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। সড়ক ও নৌ পথে ফিটনেসবিহীন লক্করঝক্কর পরিবহন চললেও তা বন্ধ করা হয়নি।

সাকী আরো বলেন, ঈদ এলেই একটি সিন্ডিকেট পশুবাহী পরিবহন থামিয়ে চাঁদা আদায় করলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। দ্রুত পরিবহনের নৈরাজ্য ও বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধসহ ঈদের আগে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বারভিটার চেয়ারম্যান আব্দুল হক, নাগরিক সংহতির সাধারন সম্পাদক শহিদুজ্জামান প্রমুখ। 

টিএইচ/বিএস 
 

আরও পড়ুন