• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৬:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৬:৪০ পিএম

নদীবন্দরে ৪৫ টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণ করছে সরকার

নদীবন্দরে ৪৫ টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণ করছে সরকার
নদীবন্দরের জন্য পন্টুন নির্মাণ করছে সরকার-ছবি : জাগরণ

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গত ১০ বছরে নৌপরিবহন সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে, যা দৃশ্যমান। আগামী দিনের ভবিষ্যৎ আমাদের সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়ে নৌপরিবহন খাতকে বিকশিত করতে চাই। সে জন্য সকল নদীবন্দরে যাত্রীসেবা ও মানোন্নয়নে সরকার ৪৫টি টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণ করছে। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নদীমাতৃক বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

রোববার (২৯ সেপ্টম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘোটে আনন্দ শিপইয়ার্ডে বিআইডব্লিউটিএর জন্য ৪৫টি টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, আনন্দ শিপিয়ার্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. আবদুল্লাহেল বারী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা বারী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে যেসব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন, সেসব ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। অর্থনীতি বিকাশের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশে অর্থনীতির ধারা বিকাশের লক্ষ্যে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান সরকার ব্যবসা বান্ধব সরকার। বর্তমানে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ আরও গতিশীল হয়েছে। ব্যবসা বান্ধব সুযোগ-সুবিধায় ২০তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন সাংবিধানিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। সবাই বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ না করে বিশ্বব্যাংক তাদের ভুল বুঝতে পারেছে। শেখ হাসিনার সরকার পদ্মা সেতুর মত বড় ধরনের কাজ করতে সক্ষম।

বিআইডব্লিউটিএ বিভিন্ন নদী বন্দরে স্থাপনের জন্য প্রায় ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ ৪৫ টি বিশেষ ধরনের টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে এ বছরের ২২ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) আনন্দ শিপইয়ার্ডের সাথে বিআইডব্লিউটিএর চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে। আশা করা যায়, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে টার্মিনাল পন্টুনগুলো পাওয়া যাবে।

প্রতিটি পন্টুনের দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট, প্রস্থ ৩২ ফুট এবং গভীরতা ৭.৫ ফুট।

৪৫টি পন্টুন যেসব বন্দরে স্থাপন করা হবে, সেগুলো হলো- ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাটে ১৫টি, লালকুঠিঘাটে ৪টি, ওয়াইজঘাটে ৩টি, নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরে ৪টি, চাঁদপুর নদীবন্দরে ৪টি, ভোলা নদীবন্দরে ৩টি, পটুয়াখালী নদীবন্দরে ৩টি, মীরকাদিম নদীবন্দরে একটি, ফতুল্লা লঞ্চঘাটে দুটি, ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে দুটি, হুলারহাট লঞ্চঘাটে একটি, বরগুনা নদীবন্দরে একটি এবং খুলনা নদীবন্দরে দুটি।

এমএএম/এসএমএম