• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৮:৪০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৮:৪০ এএম

নতুন সড়ক আইন

সচেতনতা বাড়াতে আসছে ট্রাফিক পক্ষ বা সপ্তাহ

সচেতনতা বাড়াতে আসছে ট্রাফিক  পক্ষ বা সপ্তাহ

নতুন সড়ক আইন শতভাগ বাস্তবায়নের আগে চালকদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তারপর আইন প্রয়োগ করার উদ্যোগ নিতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সময়। অন্তত আরও এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এই এক সপ্তাহ ‘ট্রাফিক সপ্তাহ’ হিসাবে ঘোষণা করবে ডিএমপি। এ সময় শুধু নতুন সড়ক আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে গাড়ি চালকদের সচেনত করা হবে। এমনই তথ্য দিলেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে নাগরিকদেরও আইন মেনে চলা ও সচেতন করা হবে। তারপরই নতুন আইন প্রয়োগে কঠোর হতে চায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ডিএমপির ক্রাইম কনফারেন্সে এসব বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। মাসিক এই কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন কমিশনার শফিকুল ইসলাম।

মাসিক বৈঠকে অংশ নেয়া ডিএমপির একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ক্রাইম কনফারেন্সে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাফিক ইস্যুতে নতুন আইন প্রয়োগের বিষয়ে বিষদ আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় নতুন আইন প্রয়োগ নিয়ে ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।  মানুষকে সচেতন করার বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে আলোচনায়। 

কমিশনার বলেছেন, আইন প্রয়োগের আগে একটি ট্রাফিক সপ্তাহ বা ট্রাফিক পক্ষ ঘোষণা করা হবে। ওই সময়ে মানুষকে নানাভাবে সচেতন করার কাজ করা হবে। বিষয়টি মাথায় রেখে এ মাসের শেষে বা আগামী মাসের শুরুতে ট্রাফিক সচেতনতা পক্ষ বা সপ্তাহ শুরু হতে পারে। এই কার্যক্রমে নতুন আইন সম্পর্কে আরও বেশি জানানো হবে সবাইকে। তারপরই আইন প্রয়োগের বিষয়টি নিয়ে ভাবা হবে।

বিআরটিএ থেকে সময় মতো ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে না বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে সভায়।অনেক দিন থেকে কোনও লাইসেন্স ইস্যু করা হচ্ছে না। যে কোম্পানি ডিজিটাল লাইসেন্স তৈরি করছিল, সেই কোম্পানি এখন আর তৈরি করবে না। ফলে নতুন কোনও কোম্পানিকে দিয়ে লাইসেন্স তৈরি করতে হবে। যার কারণে প্রায় দেড় থেকে পৌনে দুই লাখ মানুষ লাইসেন্স পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। লাইসেন্স পাওয়ার আগে আইন প্রয়োগে কঠোর হলে অন্য কোনও সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া গাড়ির অন্যান্য কাগজপত্রও দ্রুত ঠিক করার জন্য মালিকরা চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, আইন প্রয়োগ করে জনগণকে সমস্যায় ফেলা পুলিশের কাজ নয়। বরং আইনকে শ্রদ্ধা করে জনগণ যেন সচেতন হয় এবং গাড়ির সব কাগজপত্র সঠিকভাবে রাখে, সেটাই মূল উদ্দেশ্য বলেও আলোচনা হয় কনফারেন্সে।

এইচএম/এসএমএম

আরও পড়ুন