জাতীয় সংসদে পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর কয়েকটি ধারা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকরের ক্ষেত্রে শিথিলতা আনা হয়েছে। বিআরটিএ কর্তৃক গাড়ির ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান নিশ্চিত করার পর এ আইনের পুরোপুরি বাস্তবায়ন শুরু হবে। এছাড়া এ আইনের কয়েকটি ধারার অসঙ্গতি দূর করার বিষয়ে চার মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে চারটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি আগামী দুই মাস পরে রিপোর্ট পেশ করবে।
আজ রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সড়কে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে গঠিত জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব কামাল উদ্দীন আহমেদ, আইজিপি ড. মোহাম্মদ জবাদ পাটোয়ারী, পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ ও নিরাপদ সড়ক চাই চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে জাতীয় সংসদে সড়ক নিরাপত্তা আইন ২০১৮ পাস হওয়ার পর এ আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে অসঙ্গতি আছে- এমন অভিযোগ উত্থাপন করে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। বিষয়টি নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। সেসব বৈঠকের আলোচনার বিষয় নিয়ে আজ অনুষ্ঠিত হলো সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক। দুই মাস পর আবার এ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বৈঠকে সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন-নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল উদ্দীন আহমেদসহ তিন জনকে কোঅপ্ট করা হয়েছে। এছাড়া সড়ক ও যোগাযোগ বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়ে সচিব এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে নিয়ে চারটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই সাব-কমিটি সড়ক নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে শ্রমিক ফেডারেশনের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে অসঙ্গতি আছে কি-না, তা অনুসন্ধান করে রিপোর্ট পেশ করবে। এর পর কাউন্সিলের বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।
‘জাতীয় সংসদে পাস হওয়া কোনো আইন নিয়ে সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা করা যায় কি-না’ এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে যেহেতু সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে, পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছিল, তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা বা বৈঠক করে সব মহলের সহযোগিতা নিয়ে আইনটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
এমএএম/ এফসি