• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২০, ০৭:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ৮, ২০২০, ০৭:৪৭ পিএম

কর্নফুলী টানেলের নির্মাণ কাজ ৫১ শতাংশ সম্পন্ন

কর্নফুলী টানেলের নির্মাণ কাজ ৫১ শতাংশ সম্পন্ন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কর্নফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের কাজ দীর্ঘায়িত হবে না। এরই মধ্যে টানেলের ৫১ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (৮ মার্চ) চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্নফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের কাজ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে প্রথম চট্টগ্রামের কর্নফুলী নদীর তলদেশে টানেলের নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ১০ হাজার ৫’শ সেগমেন্টের মধ্যে প্রায় অর্ধেক সেগমেন্ট টানেলে স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি বলেন,  এরই মধ্যে নদীর দু’পাড়ে প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ টানেল নির্মাণে বাংলাদেশ সরকার ৪ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা যোগান দিচ্ছে। বাকী ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা চীন সরকার এ প্রকল্পে ব্যয় করছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী কর্নফুলী টানেলের বোরিং কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। এরই মধ্যে ২ হাজার চার’শ মিটারের মধ্যে টানেল টিউব ১২’শ ২৮ মিটার বোরিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন নদীর মাঝামাঝি অংশ পর্যন্ত চলে গেছে টানেল নির্মাণ কাজ। বর্তমানে ৫১ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আশা করছি ২০২২ সালের মধ্যে এই টানেল পুরোপুরি ভাবে আলোর মুখ দেখবে। শেখ হাসিনা সরকারের মেগা প্রজেক্টের মধ্যে অন্যতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্নফুলী টানেলের নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং চট্টগ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এই টানেল সুদূর প্রসারী প্রভাব ফেলবে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে কর্নফুলী টানেলে কর্মরত চীনা নাগরিকরা এখনও কোনও ক্ষয়-ক্ষতি কিংবা সময় ক্ষেপণের কারণ সৃষ্টি করেনি। কাজ যথারীতি এগিয়ে চলছে। হয়তো করোনা ভাইরাসের ব্যাপারটি দীর্ঘায়িত হলে তখন ব্যাপারটা অন্যদিকে কিছুটা মোড় নিতে পারে। তবে যতটা পদ্মা সেতুতে হতে পারে কর্নফুলী টানেলে ততটা নাও হতে পারে। কারণ এখানে কর্মরত চীনা নাগরিকদের সংখ্যা খুব বেশি নয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মোট ২৯৩ জন চীনা নাগরিক কর্নফুলী টানেল প্রকল্পে কর্মরত আছে। এরমধ্যে ৭২ জন নববর্ষের ছুটিতে গিয়েছিল। তারমধ্যে ২৫ জন ফিরে এসেছে। ২৮ জন ১৪ দিনের ছুটি শেষ করে কাজে যোগদান করেছে। বাকি ১৭জন এখনও কোয়ারেন্টটাইনে রয়েছে। এর জন্য কাজের বঘ্ন ঘটার কোনও কারণ নেই।

আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে দলীয় ভাবে কি ভাবছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকাতেও বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল। প্রথমে যতটা ছিল শেষ পর্যন্ত ততটা বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল না। ১৭২ জনের মধ্যে কমতে কমতে মাত্র ১৫ জন ছিল, যারা জয় লাভ করেছে।

চট্টগ্রামেও আমি উদ্বেগের কোন কারণ দেখিনা। যেটুকু সমস্যা আছে আশা করি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সাহেবের নেতৃত্বে একটা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করে দিয়েছি। চট্টগ্রামের সমস্যা চট্টগ্রামেই যারা দায়িত্বরত আছেন তারাই সমাধান করবে। কেন্দ্র থেকে কোনও পরামর্শ প্রয়োজন হলে দেব।

এসএমএম