মঙ্গলবার (১০ মার্চ) পদ্মা সেতুর ২৬তম স্প্যান সেতুর ২৮ ও ২৯ নম্বর পিলারে বসিয়ে ৩ হাজার ৯০০ মিটার দৃশ্যমানের পরিকল্পনা রয়েছে প্রকৌশলীদের।
পদ্মার বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে সেতুর ৪০টি পিলার। আর দুইটি পিলারের কাজ হলে গেলেই চ্যালেঞ্জিং একটা ধাপ শেষ হবে।
করোনাভাইরাস কাজের গতিতে প্রভাব ফেললেও এগিয়ে যাচ্ছে সেতু নির্মাণের কাজ। সেতুর ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের শেষ হলেই সম্পন্ন হবে সব পিলারের কাজ, যা আরও এক মাস সময়ের মধ্যে শেষ হবে বলে আশাবাদী প্রকৌশলীরা।
রোববার (৮ মার্চ) গভীর রাতে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় শেষ হয় ১০ নম্বর পিলারের কাজ। এর মাধ্যমে মূল নদীর সব পিলারের কাজ শেষ হলো। বাকি দুইটি পিলারের অবস্থান নৌযান চলাচলের চ্যানেলে।
সেতুর সহকারি প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তিনি জানান, বাকি থাকা দুইটি পিলারে এখন কংক্রিটিং চলছে। তা শেষ হয়ে সময় লাগবে এক মাস। এরই মধ্যে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে দুইটি স্প্যান এসে যোগ হয়েছে। বর্তমানে ৩৯টি স্প্যান আছে। চীন থেকে দুইটি স্প্যান আসার কার্যক্রম চলছে। চীনে স্প্যানগুলো তৈরি হয়ে নৌপথে বাংলাদেশে আসে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে সেখানকার খোঁজ-খবর ঠিকমতো নেয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, সোমবার (৯মার্চ) মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ২৬তম স্প্যান সেতুর ২৮ ও ২৯ নম্বর পিলারের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে। মঙ্গলবার (মার্চ) সকালে স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে ৩ হাজার ৯০০ মিটার দৃশ্যমানের পরিকল্পনা আছে।
অনুকূল আবহাওয়া আর কারিগরি জটিলতা দেখা না দিলে এই শিডিউল অনুযায়ী স্প্যান বসানো হবে।
জানা যায়, সেতুর ৫, ৬, ৭, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১,৪২ নম্বর পিলারে বসেছে ২৫টি স্প্যান। স্প্যান বসানো বাকি পিলারগুলো হলো-১, ২, ৩, ৪, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ২০, ২৬, ২৭, ২৮ নম্বর।
রেলওয়ে স্ল্যাব বসেছে ৭২২টি ও রোডওয়ে স্ল্যাব বসেছে ৩৪৪টি।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি দ্বিতল হবে, যার ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
চীনা প্রকৌশলী-শ্রমিকরা এখনও পুরোপুরি কাজে যোগ দেয়নি। প্রায় দেড়শ চীনা বাকি আছে, যারা কাজে যোগদান করেনি।
এসএমএম