• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২০, ০৪:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১১, ২০২০, ০৪:০৭ পিএম

দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার

দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ● জাগরণ

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ২০১৬ সালে শুরু হয় দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গার নির্মাণ কাজ। অবশেষে নির্মাণ কাজ শেষে এক্সপ্রেসওয়েটির ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের ৫৫ কিলোমিটার অংশ খুলে দেয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান, এক্সপ্রেসওয়েটিতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারবে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত। সে হিসেবে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ২৭ থেকে ৩০ মিনিট।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এক্সপ্রেসওয়েটির ভাঙ্গা অংশ পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হলে পরিপূর্ণ সুফল পাওয়া যাবে।

আধুনিক ‘ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা’ সমৃদ্ধ ৬ লেনের এ মহাসড়কটিতে স্থানীয়দের ব্যবহারের জন্য আছে দুই লেনের সার্ভিস রোড।

এছাড়াও রয়েছে ৪টি ফ্লাইওভার, ৪টি রেলওয়ে ওভারব্রিজ, ৪টি বড় ব্রিজ, ১৯টি আন্ডারপাসসহ বিশ্বমানের সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। 

সড়কটি ব্যবহারকারীরা জানান, পদ্মা সেতু চালু হলে এ মহাসড়ক দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীসহ পুরো দেশের যে নিবিড় যোগাযোগ তৈরি হবে তার অর্থনৈতিক ও সামগ্রিক সুফল দেশকে এগিয়ে নেবে অনেকাংশেই।

পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলে, ভাঙ্গা থেকে ঢাকা আসা এবং যেতে এক ঘন্টা সময় লাগবে না।

এই হাইওয়েতে আগামী ২০ বছরের জন্য ক্রমবর্ধমান ট্রাফিকের পরিমাণ বিবেচনা করে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে প্রায় ১১০০৩.৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মিত হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথভাবে ২০১৬ সালে চারটি জেলা– ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর এবং ফরিদপুরে এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু করে এবং এটি নির্ধারিত সময়সীমার তিন মাস আগে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে।

নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার নির্ধারিত সময়সীমা ছিল ২০২০ সালের ২০ জুন।

১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মুজিববর্ষ উদযাপন শুরুর প্রাক্কালে এক্সপ্রেসওয়ে ট্রাফিকের জন্য উন্মুক্ত হতে চলেছে।

স্থানীয় ও ধীরগতি সম্পন্ন যানবাহনের জন্য এক্সপ্রেসওয়ের দু’পাশে দুটি পরিসেবা লেন রাখা হয়েছে যাতে দ্রুত যানবাহনগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে রাস্তায় চলাচল করতে পারে এবং এইভাবে দীর্ঘপথের যাত্রীদের ভ্রমণের সময় হ্রাস করতে পারে।

এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচটি ফ্লাইওভারের মধ্যে একটি ২.৩ কিলোমিটার কদমতলী-বাবুবাজার লিংক রোড ফ্লাইওভার রয়েছে। অন্য চারটি ফ্লাইওভার হলো আবদুল্লাহপুর, শ্রীনগর, পুলিয়াবাজার এবং মালিগ্রামে।

৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েতে জুরাইন, কুচিয়ামোড়া, শ্রীনগর ও আতাদিতে চারটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ রয়েছে এবং চারটি বড় সেতু রয়েছে যার মধ্যে ৩৬৩ মিটার ধলেশ্বরী- ১, ৫৯১ মিটার ধলেশ্বরী- ২, ৪৬৬ মিটার আড়িয়াল খান এবং ১৩৬ মিটার কুমার সেতু।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছে, বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জন করতে চলেছে।

এসএমএম