• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯, ০৬:৪০ পিএম

চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাই নাটকের রক্তপাতহীন অবসান

চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাই নাটকের রক্তপাতহীন অবসান
চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৭ ‘ময়ূরপঙ্খী’ -ছবি : টিভি থেকে নেয়া

 

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ছিনতাই নাটকের রক্তপাতহীন অবসান হয়েছে। সেনা কমান্ডোদের বিশেষ অভিযানে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অস্ত্রধারী ছিনতাইকারী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। 

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি-১৪৭ ‘ময়ূরপঙ্খী’ ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে। বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে এ ঘটনার সূত্রপাত। সেনা কমান্ডোদের বিশেষ অভিযানে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অস্ত্রধারী ছিনতাইকারীকে পরাভূত করা হয়।

সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আইএসপিআর এর পরিচালক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ রাত ৮টা ৫ মিনিটে দৈনিক জাগরণকে বলেন, ছিনতাইকারী আহত নাকি নিহত, তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে এটা নিশ্চিত, সেনাবাহিনীর অভিযানে অপরাধী পরাভূত হয়েছে।

বিকালে বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রানওয়েতে দুটি গুলির শব্দ শোনা গেছে। 

সেসময় বিমান সচিব জানান, একজন যাত্রী এবং কেবিনক্রু এফ এস সাগর ছাড়া বাকি সব যাত্রীকে নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে। পুরো বিমানবন্দর নিরাপত্তা বাহিনী ঘিরে রেখেছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। 

বিমানের যাত্রী ছিলেন জাসদ নেতা ও চট্টগ্রামের বোয়ালখালী আসনের সংসদ সদস্য মইনুদ্দীন খান বাদল। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘আমি দেখেছি বিমানটির ভেতরে হাইজাকার আছে একজন বাঙালি। সে গুলি করেছে। বিমান থেকে সব প্যাসেঞ্জার (যাত্রী) রিমুভ করেছে। আর পাইলট নেমে এসেছে। প্লেন সেভ। ক্রু সেভ। সমস্ত যাত্রী সেভ। এখন ওই হাইজাকারকে নামানোর চেষ্টা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চেষ্টা করছে। পাইলট আমার কাছে এসেছিল। বলেছে একজন শুট (গুলি) করেছে। পাইলট তাকে পারসু (প্রভাবিত) করার চেষ্টা করেছে। হাইজাকার বলেছে, সে শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে চায়।’

জানা গেছে, বিমানে যাত্রী ছিলেন ১৪২ জন, কেবিন ক্রু ৫ জন এবং ককপিট ক্রু ২ জন। অস্ত্রধারী ব্যক্তি ককপিটে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। তবে সফল হয়নি।

সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী ও নৌ কমান্ডো। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরে অবস্থান করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৪টি ইউনিট।

গত বছরের ১৩ জানুয়ারি বিমান বহরে ১৬২ আসনের ‘মেঘদূত’ ও ময়ূরপঙ্খী’ ফ্লাইট দুটির সংযোজন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো নতুন প্রজন্মের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের অত্যাধুনিক বিমান।

এফসি