• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০১৯, ০৭:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১, ২০১৯, ০৭:৩৭ পিএম

মধ্যপাড়া পাথর খনি

মার্চে ১ লাখ ৩০ হাজার মে.টন পাথর উত্তোলন 

মার্চে ১ লাখ ৩০ হাজার মে.টন পাথর উত্তোলন 

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে গত মার্চে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। খনির উত্তোলন ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ রেকর্ড বলে দাবি করেছে খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)।

জানা গেছে, মধ্যপাড়া পাথর খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি মার্চ মাসে এক দিনে ৩ শিফটে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৪৮ মে.টন পাথর উত্তোলন করে। একই সাথে মাসিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গত মার্চ মাসে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৮ হাজার টন পাথর উত্তোলন করেছে। গত ডিসেম্বর মাসে ও জানুয়ারিতে এই পাথর খনিতে ১ লাখ ২৫ হাজার এবং গেল ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ ১ লাখ ১০ হাজার মে.টন পাথর উত্তোলন করা হয়েছে।
  
খনি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর সাথে পাথর খনির চুক্তির পর থেকে জিটিসি খনির উন্নয়ন ও উৎপাদনকে গুরুত্ব দিয়ে পাথর উত্তোলন করে আসছে। তারা অল্প সময়ের মধ্যে এক শিফটের জায়গায় ৩ শিফটে পাথর উত্তোলন শুরু করে। তবে খনি উন্নয়ন ও উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় বিদেশি মেশিন ও যন্ত্রাংশ না থাকায় প্রায় ২ বছর খনির উন্নয়ন ও উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল জিটিসি। 

খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)’র নির্বাহী পরিচালক জাবেদ সিদ্দিকী জানান, ২০১৭ সালে জিটিসি’র খনির উন্নয়ন ও উৎপাদনের জন্য খনি বিশেষজ্ঞদের চাহিদা মাফিক বিদেশি যন্ত্রাংশ স্থাপনের ফলে পাথর উত্তোলন উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পায়। এখনও সে ধারাবাহিকতা বজায় আছে। মাসিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের ফলে জিটিসি তাদের অধীনে কর্মরত প্রায় সাড়ে ৭শ খনি শ্রমিককে বেতন ও ওভার টাইমের সাথে উৎপাদন বোনাস প্রদান করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

এদিকে, খনি সূত্রে জানা গেছে, মধ্যপাড়া পাথর খনি ২০০৭ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে। এছাড়া ওই সময়ে দৈনিক সর্বোচ্চ ৫০০ থেকে ৭০০ টন করে প্রতি মাসে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার মে. টন পাথর উত্তোলন করে আসছিল। 
 
কেএসটি