• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০১৯, ১১:৪৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১২, ২০১৯, ১১:৪৮ এএম

নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে বৈসাবি উৎসব শুরু

নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে বৈসাবি উৎসব শুরু
পানিতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে তিন পার্বত্য জেলায় শুরু হচ্ছে বৈসাবি উৎসব- ছবি: জাগরণ

 

পানিতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে তিন পার্বত্য জেলায় শুরু হচ্ছে বৈসাবির মূল আনুষ্ঠানিকতা। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকেই উৎসবে মেতে আছে পাহাড়িরা। এ উৎসবটি ত্রিপুরাদের কাছে বৈসুব, বৈসু বা বাইসু , মারমাদের কাছে সাংগ্রাই এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত।

আজ ভোর হবার সাথে সাথে চাকমা সম্প্রদায়ের শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সীরা ফুল সংগ্রহ করে খাগড়াছড়ির চেঙ্গীনদী ও বিভিন্ন ছড়া-খালে ফুল দিয়ে উপগুপ্ত বুদ্ধের উদ্দেশ্যে পূজা করেন। অনেকে নদীতে ফুল ভাসিয়ে দেন। শিশু কিশোররা আনন্দ উল্লাস করে ফুল বিজু উদযাপন করে থাকে। 

 

 

পুরোনো বছরের দুঃখ গ্লানি ভুলে নতুন বছরে ভালো কিছু প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন পাহাড়িরা। বৈসাবিকে ঘিরে পাহাড়ের পাড়া-পল্লীতে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় চলছে ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার প্রতিযোগিতা। শহর, শহরতলী ও গ্রামে গ্রামে চলছে ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী গরয়া নৃত্য। 

উৎসব প্রিয় পাহাড়িরা সারা বছর মেতে থাকেন নানান অনুষ্ঠানে। তবে তার সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় বর্ষবিদায়ের এই  উৎসব। চাকমারা বিজু, ত্রিপুরা বৈসুক, মারমারা সংগ্রাই, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, অহমিয়ারা বিহু এভাবে তারা ভিন্ন ভিন্ন নামে আলাদাভাবে পালন করেন এই উৎসব। উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা বন থেকে ফুল আর নিমপাতা সংগ্রহ করে সেই ফুল দিয়ে ঘর সাজান। পবিত্র এই ফুল ভাসিয়ে দেন পানিতে, তাই একে বলা হয় ফুল বিজু। 

 

 

বাংলা বছরের শেষ দুইদিন ও বাংলা নবর্ষের প্রথম দিন চাকমা ও ত্রিপুরারা পাহাড়ে বর্ষবরণ ও বর্ষ বিদায়ের এ উৎসব করেন। অন্যদিকে নববর্ষের দিন থেকে তিনদিন ধরে সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন করেন মারমারা। 

টিএফ