বান্দরবানের লামা উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে পৌর বাস টার্মিনাল গত বছরের ৩০ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু উদ্বোধনে ছয় মাস পার হলেও এখনো তা চালু হয়নি। ফলে পৌর এলাকার রাস্তার বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী বাসগুলো পার্কিং করা হচ্ছে। স্থানীয়দের ভোগান্তিও বেড়ে চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লামা পৌর এলাকায় পুরাতন বাসটার্মিনাল এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিট দুই কোটি টাকা ব্যয়ে এই বাস টার্মিনালটি নির্মাণ করে। উদ্বোধন করেন বর্তমান পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর। এরপর ছয় মাস পার হয়ে গেলেও তা চালু হয়নি। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। কারণ ঢাকা, চট্টগ্রাম, চকরিয়া, কক্সবাজার, বান্দরবান সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসগুলো রাস্তার পাশে পার্কিং করে যাত্রীদের বাসে উঠায় ও নামিয়ে দেয়। কখনো কখনো এসব গণপরিবহনগুলো রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়ার প্রতিযোগিতা করে। এতে করে স্টেশনের প্রধান সড়কসহ আশপাশের এলাকা জুড়ে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে।

২০১১ সালের আদমশুমারীর তথ্য মতে, লামা উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ৪১৩ জন। লামার নতুন টার্মিনালটি চালু না হওয়ায় লামা পৌর ঈদগাঁ মাঠে অস্থায়ীভাবে রাখা হচ্ছে বাস , ট্রাক ও মিনিবাস। যার ফলে যাত্রী ও টিকেট কাউন্টারের স্টেশন মাস্টার ও বাসের হেলপারদেরও পড়তে হচ্ছে বিপাকে। তাছাড়া বর্তমানে অস্থায়ী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। নেই পাবলিক টয়লেট। এতে করে যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়েন।

লামার মাতামুহুরি বাস সার্ভিসের চালক জাহাঙ্গীর জানান, বাস টার্মিনাল চালু হবে শুনছি অনেক দিন। কিন্তু তা চালু না হওয়ায় আমরা যাত্রীদের রাস্তায় নামাতে বাধ্য হই। গাড়ি নিদির্ষ্ট স্থানে পাকিং করতে না পারার কারনে অনেক সময় যানজট সৃষ্টি হয়।

লামা থেকে বান্দরবান আসা কাউছার আলী জানান, লামাতে বাস টার্মিনাল তৈরি হয়েছে অনেক দিন। কিন্তু এখনো চালু হয়নি। যার ফলে আমাদেরকে প্রতিনিয়তি নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম জানান, বাজেট সমস্যার কারণে টার্মিনালটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশা করছি দ্রুতই এটি চালু করা সম্ভব হবে। তখন জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

এদিকে দ্রুত লামা পৌর বাস টার্মিনালটি চালু করে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধসহ নির্দিষ্ট স্থানে পার্কিং করার মাধ্যমে মানুষের ভোগান্তি কমানো ও লামা পৌরসভার সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এসসি/এসজেড