• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০১৯, ০৪:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৯, ২০১৯, ১১:১১ পিএম

শাহরাস্তিতে ছুরিকাঘাতে মা-মেয়েকে হত্যার চেষ্টা

শাহরাস্তিতে ছুরিকাঘাতে মা-মেয়েকে হত্যার চেষ্টা

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় ভাসুরের ছুরিকাঘাতে মা-মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে মা কোহিনুর বেগমকে কুমিল্লা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ২টায় শাহরাস্তি উপজেলার পৌর ১১ নং ওয়ার্ডের ভাটনীখোলা বেপারী বাড়িতে এই ঘটে। ওই বাড়ির প্রবাসী আরিফুল ইসলামের স্ত্রী কোহিনুর বেগম ও মেয়ে মুক্তা আক্তার। আবদুল খালেকের পুত্র জহিরুল ইসলাম বসতঘরের সিঁধ কেটে ভাবীকে হত্যার চেষ্টা করে। ওই সময় মেয়ে মুক্তা আক্তরের ঘুম ভাঙলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় জহির।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের মধ্যে বিবাহের একটি ঘটনা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে জহির এই ঘটনা করে। 

কোহিনুরের দেবর হাবীব বলেন, ঘাতক জহির পালিয়ে গেছে। ঘরে ঢুকে ভাবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় খাটে পড়ে থাকতে দেখি। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাই। উয়ারুক মেডিল্যাব হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখলে তারা কুমিল্লা সরকারি মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখান থেকে দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমান অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তিনি জানান।
 
শাহরাস্তি মডেল থানার এসআই হাবিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে শাহরাস্তি থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আহত কোহিনুরের মেয়ে মুক্তা বলে, মায়ের চিৎকার শুনে আমি ঘুম থেকে জেগে দেখি জহির জেঠার হাতে বড় একটি ছুরি। ওই ছুরি দিয়ে মাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করছে। আমি দৌড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাকেও তিনি ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। এতে আমিও গুরুতর আহত হই। এধরনের ঘটনাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানায় সে। এছাড়া সে জানায়, ঘরে থাকা ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আর একটি মোবাইলে নিয়ে গেছে জহির।

এদিকে, জহিরের বাবা আ. খালেক বলেন, আমি নিরুপায় অসহায়। আমার পুত্র জহির অবাধ্য। সে আমাকে ও আমার ছোট পুত্রকে কয়েক মাস আগে কুপিয় রক্তাক্ত জখম করেছে। পালিয়ে বেড়ানোর কারণে তাকে আইনের আওতায় আনতে পারিনি। 

কেএসটি