• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০১৯, ০৩:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২১, ২০১৯, ০৩:১০ পিএম

ব্রিজ নয়, যেন মরণফাঁদ

ব্রিজ নয়, যেন মরণফাঁদ
কাইক্যাছড়া খালের উপর অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ- ছবি : জাগরণ

মাধবপুর ও বিজয়নগর উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ বিকল্প সংযোগ পথ মির্জাপুর-হরষপুর সড়ক। এই সড়ক দিয়ে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ ও শত শত ছোট বড় যানবাহনের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। এ সড়কের পাশে একাধিক বড় বাজার, নৌঘাট, স্কুল-মাদ্রাসা ও রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত। হরষপুর রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিম পাশে কাইক্যাছড়া খালের উপর অবস্থিত ব্রিজটি চলাচলের জন্য বর্তমানে সম্পূর্ণ অযোগ্য। এরপরও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হওয়ায় এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়েও প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিমপাশের কাইক্যাছড়া ব্রিজটির পশ্চিমাংশ ভেঙে ফাঁকা হয়ে রড বের হয়ে আছে।

এ ব্রিজটির পূর্বাংশ ফাটল সৃষ্টি হওয়ার পর প্রায় ৬ পূর্বে পুনঃনির্মাণ করা হয়। কিন্তু পূর্বাংশ পুনঃনির্মাণ করার কিছু দিন যেতে না যেতেই ব্রিজের পশ্চিমাংশের অর্ধেক অংশে ফাটল দেখা দেয়। তবে ক্রমান্বয়ে ব্রিজের ফাটল বড় হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে ব্রিজ ভেঙে রড বের হয়ে কঙ্কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ব্রিজের পশ্চিমাংশে ফাঁকা অংশে স্টিলের একটি ম্যাকার দেওয়া থাকলেও জনগণের তেমন কোন কাজে আসছে না। এর মধ্যে ব্রিজের ভাঙা অংশে কিছু গাছের খুঁড়ি, ইটের কংক্রিট পেলে রাখা হয়েছে। ব্রিজের পশ্চিমাংশের প্রায় ১২ ফুট জায়গা ভেঙে ফাঁকা হয়ে এলোমেলো অবস্থায় রড বের হয়ে থাকলেও প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারীরা পাড়ি দিচ্ছে এ ব্রিজের উপর দিয়ে। ব্রিজটি ঝুঁকিতে থাকায় বিজয়নগর ও মাধবপুর  উপজেলার হাজার হাজার পথচারী পড়েছে মারাত্মক ঝুঁকিতে।

ব্রিজটির নিয়মিত যাতায়াতকারী ধর্মঘর ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী পপি আক্তার বলেন, ব্রিজটি ভাঙা থাকায় আমরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হই। তাই এ ব্রিজটি তাড়াতাড়ি সংস্কার করা প্রয়োজন। যে কোন মুহুর্তে ব্রিজটি ভেঙে যাতায়াত ব্যবস্থা অচল হয়ে যেতে পারে। বেগম রোকেয়া মেমোরিয়াল কিন্ডার গার্টেনের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিয়া বলেন, খুব ভয় লাগে, ভাঙা ব্রিজ দেখে।  

এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়কে মাসাধিককাল ব্রিজ ভেঙে পড়ে আছে। মানুষ জন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ মরণফাঁদ অতিক্রম করছেন। বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই এ ব্রিজটির মেরামত করা হবে এমনটাই জনগণের প্রত্যাশা।