নওগাঁর রাণীনগরের একাধিক প্রধান সড়কের পাশে নির্মিত যাত্রী ছাউনিগুলো অবৈধ ভাবে বেদখলের শিকার হওয়ার কারণে সেগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ব্যবহার করতে পারছেন না যানবাহনের জন্য রাস্তায় অপেক্ষারত সাধারণ যাত্রীরা। তবে যাত্রী ছাউনিগুলো যেহেতু আর আগের মতো ব্যবহৃত হচ্ছে না তাই সেগুলো উদ্ধার করে দোকান কিংবা মার্কেট নির্মাণ করলে প্রতিবছর সরকার অনেক টাকা রাজস্ব হিসেবে আয় করতে পারবে বলে স্থানীয়দের দাবি।
সূত্রে জানা, এক সময় নওগাঁ হতে রাণীনগরের পূর্বাঞ্চল আবাদ পুকুর হয়ে কালীগঞ্জ যাওয়ার সড়কের পাশে এবং নওগাঁ হতে রাণীনগর দিয়ে আত্রাই যাওয়ার সড়কের একাধিক স্থানে রাস্তায় অপেক্ষমান যাত্রী সাধারণদের বসার জন্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছিল যাত্রী ছাউনি। বর্তমান সময়ে এই সব রাস্তা দিয়ে যাত্রীবাহী বাসের চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রী ছাউনিগুলো আর ব্যবহৃত হয় না। এই সব প্রধান প্রধান সড়কে সিএনজি, অটোরিক্সা, অটোভ্যান, অবৈধ ভটভটিসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রায় ৫ মিনিট পর পর যাতায়াত করছে যার কারণে রাস্তায় এসে যাত্রী সাধারণদের কোন যানবাহনের জন্য আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় না। যার কারণে এই যাত্রী ছাউনিগুলো আগের মতো আর ব্যবহৃত হয় না।
স্থানীয়দের দ্বারা যাত্রী ছাউনিগুলো দীর্ঘদিন অবৈধ ভাবে দখলের শিকার হওয়ার কারণে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে যা জনসাধারণদের কোন উপকারে আসছে না। স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে দখল করে নিজেদের ইচ্ছে মতো ব্যবহার করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে কোন কোন যাত্রী ছাউনিতে ইটের খোয়া মজুদ করে রাখা হয়েছে আবার কোন কোন যাত্রী ছাউনিতে সেুলন আবার কোনটিতে ভ্রাম্যমান দোকান দিয়ে দখল করে রাখা হয়েছে। তাই শত ইচ্ছে থাকলেও যাত্রীরা বসতে পারে না এই সব যাত্রী ছাউনিগুলোতে।
স্থানীয়দের দাবি, যেহেতু যাত্রী ছাউনিগুলো আগের মতো আর ব্যবহৃত হয় না, বেশির ভাগ যাত্রী ছাউনিগুলো বর্তমানে অবৈধ দখলের শিকার। তাই সরকার যদি এই যাত্রী ছাউনিগুলো উদ্ধার ও সম্প্রসারণ করে দোকান কিংবা মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া দেয়, তাহলে সরকার প্রতিবছর রাজস্ব হিসেবে অর্থ আয় করতে পারতো এবং জায়গাগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হতো।
খানপুকুর এলাকার যাত্রী আব্দুল খালেক, আমিনুল ইসলামসহ আরো অনেকেই বলেন, যাত্রী ছাউনিগুলো অবৈধ দখলের কারণে আর ব্যবহার করা যায় না। আর এই রাস্তাগুলো দিয়ে বর্তমানে অনেক যানবাহন চলাচল করায় যাত্রী ছাউনিতে আর অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয় না। তাই সরকার এই জায়গাগুলো উদ্ধার করে দোকান কিংবা মার্কেট নির্মাণ করে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করবে এমনটাই দাবি আমাদের সকলের।
জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন প্রধান সড়কে আর যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে না। আর আগের চেয়ে রাস্তায় এখন অনেক বেশি যাত্রাবাহী যানবাহন চলাচল করে। রাস্তায় এসে যাত্রীদের আর বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় না। যার কারণে নির্মিত যাত্রী ছাউনিগুলো আগের মতো আর ব্যবহৃত হয় না। অব্যবহৃত এই সব যাত্রী ছাউনিগুলো উদ্ধার করে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য জেলা পরিষদ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অতিদ্রুত এই সব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হলে যাত্রী ছাউনিগুলো আর অবৈধ দখলের শিকারে থাকবে না।
টিএফ