• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০১৯, ০৩:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২২, ২০১৯, ১০:৪৮ পিএম

নড়াইলে সিলেবাস দেয়া হচ্ছে সোমবার, পরীক্ষা মঙ্গলবার

নড়াইলে সিলেবাস দেয়া হচ্ছে সোমবার, পরীক্ষা মঙ্গলবার

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) থেকে শুরু অথচ পাঠ পরিকল্পনা (সিলেবাস) দেয়া হচ্ছে আজ। আর তাই সরকারি ছুটির দিনে সকাল থেকে উপজেলা জেলা শিক্ষা অফিসে ভিড় করছেন শিক্ষকরা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে পাঠদান করা হয়ে থাকে। প্রথম, দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য সিলেবাস তৈরী করা হয়ে থাকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলায় ১শ ৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৫টি কিন্টার গার্ডেন রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা আগামীকাল মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে। অথচ আজ সোমবার সরকারি ছুটির দিনে সকাল থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে বিদ্যালয়ের পাঠপরিকল্পনা এবং পরীক্ষার প্রশ্ন বিতরণ করা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষকরা এসে দাঁড়িয়ে আছেন সিলেবাস ও প্রশ্ন নেয়ার জন্য। এক জায়গায় টোকেন নিচ্ছেন আর অন্য জায়গা থেকে সিলেবাস ও প্রশ্ন সরবরাহ করছেন। এজন্য খরচ বাবদও টাকা নেয়া হচ্ছে। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার টাকা নিয়ে টোকেন দিচ্ছেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস (পাঠপরিকল্পনা) -ছবি : জাগরণ

নড়া্ইলে এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ২১ হাজার এবং কিন্টারগার্ডেনগুলোতে সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের মাধ্যমে ১৬ হাজার সিলেবাস বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলে, বছরের শুরুতে বিদ্যালয়গুলোতে সিলেবাস দেয়ার কথা যা দেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করবে। বছরের ৪ মাস চলে যাচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষা শুরু অথচ আজ সিলেবাস দেয়া হচ্ছে। এ সিলেবাস নিয়ে আমরা কবে পড়াব ? আর শিক্ষার্থীরাই বা কী পরীক্ষা দিবে ?

তারা অভিযোগ করেন, গত রাতে পবিত্র শবেবরাতের রাত থাকায় অধিকাংশ শিক্ষকরা ইবাদত করে ক্লান্ত। কেউ কেউ রোজাও রেখেছেন। অথচ আজকের দিনেই কেন এসব দিতে হবে পূর্বেও তো দেয়া যেত। প্রশ্নপ্রত্র ও সিলেবাস নিজেরা তৈরী করলেও এত দেরিতে কেন সিলেবাস দেওয়া হচ্ছে ?

সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাজ্জাদুল করিম বলেন, বিভিন্ন সময়ে সিলেবাসের পরিবর্তন হয়ে থাকে তাই নিদিষ্ট সময়ে দেয়া যায়নি। গত রোববার আমাদের কাছে পৌঁছানো পর থেকেই বিতরণ করা হচ্ছে।

সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার অসিত কুমার পাল পরীক্ষার সিলেবাস দিতে একটু দেরি হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, প্রথম সাময়িকে কোন অধ্যায় পর্যন্ত প্রশ্ন আসবে সেটি পূর্বেই বিদ্যালয়গুলোতে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। আর সিলেবাস তো সারা বছরের জন্য সামনে আরও দুইটি পরীক্ষা রয়েছে। 

জেলা শিক্ষা অফিসার মুহম্মদ শাহ আলম বলেন, এ বিষয় নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।

একেএস