• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০১৮, ১১:৫২ এএম

ফোনালাপ ফাঁস : মান্নার নিবন্ধন নাই, রব করছে গোয়ার্তুমি

ফোনালাপ ফাঁস : মান্নার নিবন্ধন নাই, রব করছে গোয়ার্তুমি
অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ (বাঁয়ে) ও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন বণ্টন নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির দর-কষাকষি নিয়ে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কথোপকথনে অংশ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

এই কথোপকথনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির বিবদমান পরিস্থিতিই আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মোশাররফ  হোসেন ঐক্যফ্রন্টের ৪০টি আসন চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এমাজউদ্দীনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। অপরপ্রান্তে ড. এমাজউদ্দীনও বিষয়টিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখেন বলে অডিও ক্লিপে শোনা যায়।

ড. এমাজউদ্দীন: কেমন আছেন? রাত ধরে পরিশ্রম করছেন এমন সময় কাটছে? ঐক্যফ্রন্ট কি বেশি দাবি-দাওয়া করছে না কি?

খন্দকার মোশাররফ:  হ্যাঁ, হ্যাঁ, দাবি-দাওয়ার শেষ নাই। মান্নার তো পার্টির কোনো নিবন্ধন নাই। মান্নাকে একটা সিট দিতে হইলে আমার বগুড়ার একটা পাশ করা ক্যান্ডিডেটের গলা কাইট্টা দিতে হইব।

ড. এমাজউদ্দীন : আহারে...

খন্দকার মোশাররফ : একটা পাইলে আমাদের এত বড় ক্ষতি হবে যে বগুড়ায় আমাদের তিনবারের পাশ করা এমপিদের বসে থাকতে হবে। আর সে যদি চল্লিশটা চায়...  

ড. এমাজউদ্দীন : চল্লিশটা! না না না, মনে হচ্ছে যে বিএনপিকে উদ্ধার করার জন্য তারা নেমেছে...

খন্দকার মোশাররফ :  তাদের এমন ভাবনার কারণে আমি খুবই বিচলিত। আমার সাথে যে লোকজন তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করি। আপনি বলেন না এইটার কোনো যুক্তি আছে?  রবকে যদি আমরা ঢাকায় দেই তাহলে সে হয়ত পাশও করবে। লক্ষ্মীপুরে গেলে সে অবধারিত পাশ করবে না। এই রবের নিজামের কাছে জামানত বাজেয়াপ্ত হইছে। সে গোয়ার্তুমি করতেছে। সেইখানে ইলেকশন করলে সে অবধারিতভাবে ফেইল করবে।

ড. এমাজউদ্দীন : এইটা তো ব্ল্যাকমেইলিংয়ের ব্যাপার মনে হচ্ছে।

কথোপকথনের শেষ দিকে লিফলেট বিতরণে এবং লোক সমাগমে বিএনপি লোক এনে দেয় বলে দাবি করেন খন্দকার মোশাররফ। তিনি আরো দাবি করেন যে তারাই ভোটার-লিফলেট সব যোগাড় করে দেবে আর অন্যরা নির্বাচন করবেন। এর প্রেক্ষিতে  ড. এমাজউদ্দীন বলেন, 'এগুলো খুব খারাপ কথা'।

জাহো/এফসি