• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০১৯, ০২:৩০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৬, ২০১৯, ০২:৩০ পিএম

টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না বজ্রপাতে ঝলসে যাওয়া লায়েক মিয়া’র

টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না বজ্রপাতে ঝলসে যাওয়া লায়েক মিয়া’র
প্রতীকী ছবি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বজ্রপাতে লায়েক মিয়া (১৮) নামে এক যুবকের শরীরের ৬৫ শতাংশ ঝলসে গেছে। কিন্তু টাকার অভাবে ১৬ দিনেও কোনো চিকিৎসা করাতে পারেনি তার পরিবার। ফলে বিনা চিকিৎসায় ওই যুবক এখন মৃত্যু পথযাত্রী। আহত লায়েক মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার গুমগুমিয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল গুমগুমিয়ার গ্রামের পাশে ‘গরশোলা’ হাওরে ধান কাটতে যায় লায়েক। হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে তার উপর বজ্রপাত ঘটে। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে ঢাকা বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করেন। কিন্তু টাকার অভাবে সেখানে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। এরপর থেকে ৬৫ শতাংশ ঝলসে যাওয়া শরীর নিয়েই দীর্ঘ ১৬ দিন বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে পড়ে আছে এই যুবক। অসহ্য যন্ত্রনায় নিদ্রাহীন দিনরাত কাটছে তার। পুড়া যন্ত্রনায় ক্ষণে ক্ষণে চিৎকার করে উঠছে। অথচ সমাজের কোনো ভিত্তবান তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছেন না।

এ ব্যাপারে লায়েক মিয়ার বাবা আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমি গরিব কৃষক। টাকা পয়সা নেই, নেই কোনো সয়-সম্পত্তি। টাকার অভাবে মৃত্যুমুখে পড়ে থাকা ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছি না। পাশে বসে বসে ছেলের মৃত্যু যন্ত্রনা প্রত্যক্ষ করছি। যদি জায়গা-জমিন থাকত, তাহলে তা বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা করাতাম। কিন্তু আমার কিছুই নাই। সমাজের ভিত্তবানরা এগিয়ে না আসলে আমার ছেলেকে আমি বাঁচাতে পারব না।’

এসসি/