• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৪, ২০১৯, ১২:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৪, ২০১৯, ১২:১৫ পিএম

চুয়াডাঙ্গায় প্রেমঘটিত কারণে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন

চুয়াডাঙ্গায় প্রেমঘটিত কারণে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন

চুয়াডাঙ্গায় প্রেমঘটিত কারণে সাফায়েত নামের এক কিশোরকে তারই বন্ধু মোমিন (১৫) কে জবাই করে হত্যার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

শুক্রবার (৩ মে) রাতে সদর উপজেলার আলুকদিয়ার গাংপাড়ায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে মোমিনের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত মোমিন আলুকদিয়া বাজারপাড়ার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত মোমিন ও সাফায়েত দুজন ঘনিষ্ট বন্ধু। দিনে রাতে বেশির ভাগ সময়ই তারা দুইজন একসঙ্গে চলাফেরা করতো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তাদের দুইজনকে এক সঙ্গে দেখা গেলেও রাতে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন মোমিন।

নিহতের দাদা আসমান আলী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে নিখোঁজের পর শুক্রবার সকালে মোমিনের রক্তমাখা জুতা মাথাভাঙ্গা নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয়। সন্ধান জানতে তার বন্ধু সাফায়েতকে জিজ্ঞাসা করা হলে মোমিন ঢাকাতে চলে গেছে বলে আমাদেরকে জানায়। বিষয়টি সন্দেহে হলে আমরা পুলিশকে খবর দেই।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, স্থানীয় জনগণের তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে সন্দেহভাজন সাফায়েতকে আমরা আটক করি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার বন্ধু মোমিন হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীতে থেকে মোমিনের মরদেহ উদ্ধার করে।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক সাফায়েত স্বীকার করেছে। জানায়, গ্রামের এক স্কুলছাত্রীর ভালবাসাকে কেন্দ্র দুই বন্ধুর মধ্যে বিবাদ দেখা দেয়। এই বিবাদের কারণে সাফায়েত মোমিনকে খুনের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকাতে যাওয়ার কথা বলে মোমিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে নিয়ে জবাই করে হত্যার পর গুম করার জন্য মাথাভাঙ্গা নদীতে মরদেহ ফেলে দেয়া হয়।

একেএস