প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক কিশোরী। গত ২৩ এপ্রিল থেকে তিনি প্রেমিকের বাড়িতে এ অনশন করে আসছেন। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত এ অনশন চলবে বলে জানান অনশনরত প্রেমিকা। তবে প্রেমিকার অনশনের বিষয়টি জানতে পেয়ে প্রেমিক সাদ্দাম পলাতক রয়েছেন।

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবের ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় কিশোরীর নানা বাদী হয়ে ১৭ এপ্রিল রাতেই তার নাতনীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে রৌমারী থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

প্রেমিকের বাড়িতে অনশনরত ওই কিশোরী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সাদ্দামের সঙ্গে আমার প্রেম চলে আসছিল। প্রেমের সম্পর্কের কারণে একাধিক বার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৭ এপ্রিল আমাকে বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে ধর্ষণ করে। পরে আমাকে ফেলে রেখে সে পালিয়ে যায়। সেই থেকে বিয়ের দাবিতে সাদ্দামের বাড়িতে অনশন করছেন।

এলাকাবাসী জানায়, বন্দবের ইউনিয়নের ফলুয়ার চর গ্রামের জায়েদ খানের মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল পার্শ্ববর্তী বাঘমারা গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে এই সম্পর্ক দৈহিক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ানোর পর সাদ্দাম হোসেন কেটে পড়ে। এ অবস্থায় মেয়েটি বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছে। বিষয়টি ছেলের পরিবারকে বোঝানোর পর তারা মেয়েটিকে বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু সাদ্দাম পলাতক রয়েছে।

এ ব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি। ছেলেটি পলাতক রয়েছে। মেয়েটিকে বর্তমানে ছেলের মা খাওয়াচ্ছেন। আমি বিষয়টি সমাধানের জন্য রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি।  

একেএস