• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৭, ২০১৯, ০১:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৭, ২০১৯, ০৭:০৪ পিএম

পানগুছি নদীর ভাঙনে বিলীনের পথে ৬ গ্রাম 

পানগুছি নদীর ভাঙনে বিলীনের পথে ৬ গ্রাম 

উপকূলীয় বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে পানগুছি নদীর ভাঙন বেড়েই চলছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে গত ৪ দিন ধরে ৩/৫ ফুট পানি বেড়েছে। ভাঙনের মুখে কাঁচা ও পাকা রাস্তা ঘাটসহ ৬টি গ্রামের মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। গত ৪০ বছরে পানগুছি নদীর ভাঙনে ২০টি গ্রাম নদীগর্ভে চলে গেছে। 

পানগুছি নদীর ভাঙনে শত শত পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। দিন দিন বদলে যাচ্ছে উপজেলা মানচিত্র। পানগুছি নদীর আয়তন তিনগুন বেড়েছে। ৩৫/২ পোল্ডারের অধিনে বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব করা হলেও দীর্ঘ ৫০ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। মন্ত্রী, এমপি ও পাউবোর কর্মকর্তারা পরিদর্শনও করেছেন বহুবার। কিন্তু কাজের কিছুই হয়নি। গত ৪০ বছরে শুধু উপজেলা সদর থেকে নদীগর্ভে চলে গেছে- খাদ্যগুদাম, সাবরেজিস্ট্রি অফিস, টেলিফোন অফিস, আব্দুল আজিজ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এসিলাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ভবন, ডাকবাংলো, বারইখালী ইউনিয়ন পরিষদ, পুলিশ কোয়ার্টার, আনছার ময়দান, বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোস্ট অফিস, স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের অফিস, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, থানা জামে মসজিদ, সার্বজনীন হরিসভা মন্দির, শ্মশানঘাটসহ বহু প্রতিষ্ঠান ও রাস্তা ঘাট। বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে গাবতলা, কাঠালতলা, বারইখালী, ফেরিঘাট, কুমারখালী, সন্নাসী, শ্রেণিখালী, ঘষিয়াখালী, সোনাখালী, ফুলহাতাসহ ২০টি গ্রাম বিলীন ।

ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী বলেন, কয়েকশ পরিবার তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে ছিন্নমূলে পরিণত হয়েছে। পৌর শহর রক্ষার্থে এ পর্যন্ত মাত্র ১ কিলোমিটার পায়লিং হয়েছে। খরস্রোতে পানগুছির ভাঙন থেকে মোরেলগঞ্জ পৌর শহরসহ ২০টি গ্রাম রক্ষা করতে প্রয়োজন টেকসই বেড়িবাঁধ। এ বিষয়ে পাউবো বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাত রাব্বির বলেন, বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি সরকারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মোড়েলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এইচএম মাহমুদ আলী জানান, পানগুছি নদীর তীরবর্তী কাঁঠালতলা ও গাবতলা দুগ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা দীর্ঘদিন ধরে ভাঙনের মুখে রয়েছে বিধ্বস্ত হয়েছে বসতবাড়ি, কয়েক একর চাষাবাদের জমি নদীর করাল গ্রাসে ৩ কিলোমিটার পাকা রাস্তাও নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কমিউনিটি ক্লিনিক এমনকি সাইক্লোন শেল্টারও। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে একাধিকবার সরেজমিন পরিদর্শন করেছে। অদ্যবধি হয়নি কোন ব্যবস্থা। 
 
এ বিষয়ে পাউবো বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাত রাব্বির বলেন, বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি সরকারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

কেএসটি