• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৩, ২০১৯, ০৮:৪৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৩, ২০১৯, ০৮:৪৮ এএম

বগুড়ায় শ্রমিক সংকট

ধান নিয়ে বিপাকে কৃষকরা

ধান নিয়ে বিপাকে কৃষকরা

‘শস্যভাণ্ডার’-খ্যাত বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ইরি-বোরো ধানের ক্ষেত সোনালি রঙে ভরে উঠেছে। ফসলের দিগন্তবিস্তৃত মাঠে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। আশাতীত ফলনের প্রত্যাশায় চাষীদের মুখে ফুটে উঠেছে খুশির ঝিলিক। তবে শেষ মুহূর্তে শ্রমিক সংকটে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে এলাকার কৃষকেরা। তারা বলছেন, পাওনার চেয়ে বেশি দামেও মিলছে না শ্রমিক। 

বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলায় ইরি-বোরো ধান চাষে লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে অধিক ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ মৌসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১২ হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপণ করেছেন কৃষকরা। 

উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ইরি-বোরো ক্ষেতের ধান কাটা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এলাকাবাসী বলছে, স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজের লোক এসে কাজ করত। এর ফলে শ্রমিক সংকট হতো না। কিন্তু এবার এই চিত্র একে বারেই আলাদা।

আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের জিনরই গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসাইন জানান, এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ধান উৎপন্ন হচ্ছে ১৬ থেকে ১৮ মণ। আর বর্তমান বাজারে প্রতি মণ ধান মোট বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা দরে। এক বিঘা জমিতে পানি বাবদ-১৫০০ টাকা, সার ২ হাজার টাকা, কিটনাশক ৫০০ টাকা, ধান কাটা ৩ হাজার টাকা, ধান মাড়ায় করা ৪০০ টাকা মোট ৭ হাজার ৮০০ টাকা খরচ হচ্ছে। আর বাজারে বিক্রি হচ্ছে, প্রতি মণ ধান ৬০০ টাকা দরে। এতে উৎপাদনের চেয়ে খরচ বেশি হওয়ার বিপাকে পড়েছে চাষিরা।

উপজেলার পৌঁওতা গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক জানান, এবার আট বিঘা জমিতে ইরি-বোরো চাষ করেছি। শ্রমিক না পাওয়ার কারণে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। শ্রমিক সংকটের কারণে ন্যায্য মূল্যের চেয়ে বেশি দাম দিতে হচ্ছে শ্রমিকদের।

সান্তাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু জানান, স্থানীয় যারা মাঠে শ্রমিকের কাজ করত তারা অনেকেই এখন চার্জার ভ্যান ক্রয় করে ব্যবহার করছে। এর ফলে এই এলাকায় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহীনুর ইসলাম বলেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে কৃষকরা ইরি-বোরো রোপণ করেছে। 

তিনি আরোও প্রত্যাশা করেন, এবার আদমদীঘি উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। শ্রমিক সংকট বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা স্থানীয় চাহিদার ওপর নির্ভর করে। আর এক সঙ্গে ধান পাকার কারণে কৃষকদের কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তবে ধানের দাম আর একটু বেশি হলে কৃষকদের সুবিধা হতো।

টিএফ