• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০১৯, ১১:১১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৪, ২০১৯, ০৬:০৭ পিএম

বগুড়ায় যমুনার তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ৫৬ মিটার ধস

বগুড়ায় যমুনার তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ৫৬ মিটার ধস
বগুড়ায় ধুনটের ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের বরইতলী এলাকায় যমুনার তীর ধসে গেছে- ছবি: জাগরণ

নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে যমুনার কূল ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুই দিনে প্রবল স্রোতের টানে বগুড়া ধুনটের ভান্ডারবাড়ি, কৈয়াগাড়ী ও বরইতলী এলাকায় ৫৬ মিটার পার ধসে গেছে। এতে নদীর তীরবর্তী কৈগাড়ি, বানিয়াযান, বরইতলী, ভান্ডার বাড়িসহ আশ পাশের  কয়েকটি গ্রামের মানুষ মধ্যে আবারও নদ ইউনিয়নের নদী ভাঙনের ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। 

এলাকাবাসী জানায়, নদীর পানি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোতে টানে গত রোববার (১২ মে) কৈয়াগাড়ী ও বরইতলী গ্রামের সামনে দুই পারে ধস নেমে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ৫৬ মিটার পার ধসে পড়েছে। 

বগুড়া পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাদুল বারী যমুনার পার ধসে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ধস ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। 

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০১৫ /১৬ অর্থ বছরে প্রায় ৩১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুরের সীমানা থেকে ধুনটের ৬ কিলোমিটার এলাকায় যমুনার ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প (রিভেটমেন্টের) কাজ করার কারণে নদী ভাঙ্গন আতঙ্ক দূর হয়। 

বগুড়ায় ধুনটের ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের কৈয়াগাড়ী এলাকায় যমুনার তীর ধসে গেছে- ছবি: জাগরণ

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত কয়েক বছর থেকে উপজেলার ভান্ডাবাড়ি ইউনিয়নের যমুনা নদীর তীরবর্তী ভান্ডারবাড়ি , শহরাবাড়ি, শিমুলবাড়ি, বানিয়াযান, বরইতলী, কৈয়াগাড়ী, পুকুরিয়া, ভুতবাড়ি সহ ৭/৮ গ্রামের মানুষ নদী ভাঙ্গন থেকে অনেকটাই নিরাপদে ছিল। গত কয়েকদিন ধরে যমুনার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে পানির স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তে  কৈয়াগাড়ী ও বরইতলী এলাকায়  ২০১১  সালে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে এলাকায় তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ৫৬ মিটার ধসে যাওয়ায় নদী পারের মানুষের মধ্যে আবারও নতুন করে নদী ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 

ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, নদী তীরে ভাঙন শুরু হওয়ার পর বিষয়টি বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তিনি জানান, যমুনার ডানতীর সংরক্ষণ প্রকল্প রক্ষা করা না গেলে ৪/৫টি গ্রামসহ আবাদী জমিজমা ও মূল্যবান স্থাপনা যমুনার পেটে যাবে। 

বগুড়া পাউবোর দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, যমুনা নদীর ডানতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ধুনটের অংশের কাজ সমাপ্তির ২/৩ বছরের মধ্যে কৈয়াগাড়ী এলাকায় সামনে যমুনার নদীর মূল অংশে হঠাৎ চর জেগে ওঠায় পানির গতি পথ পরিবর্তন হয়ে খরস্রোত সরাসরি তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে আঘাত করার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ধসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। 


টিএফ