• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০১৯, ০৭:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৪, ২০১৯, ০৭:১৮ পিএম

পরকীয়ায় রাজি না হওয়ায় মামিকে হত্যার পর ভাগনের আত্মহত্যা

পরকীয়ায় রাজি না হওয়ায় মামিকে হত্যার পর ভাগনের আত্মহত্যা

বগুড়ার শিবগঞ্জে মামিকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে ভাগনে। পরকীয়ায় রাজি না হওয়ায় সে তার মামিকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মামি আলেয়া বেগম (৩৫) ভাগকোলা গ্রামের দিনমজুর সাইদুর রহমানের স্ত্রী। আর ভাগনে আপেল(২০) পার্শ্ববর্তী টেপাগাড়ী গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

মোকামতলা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, আপেল পেশায় কাঠমিস্ত্রির কাজ করত। ছোটবেলা থেকে আপেল তার নানা তোজাম্মেল হোসেনের বাড়িতে বসবাস করে। তার মামা সাইদুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী আলেয়ার সাথে ভাগনে আপেল অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তিন মাস আগে সুযোগ বুঝে আপেল তার মামি আলেয়ার ঘরে প্রবেশ করে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা করে। ঘটনাটি মামি আলেয়া তার স্বামীকে জানালে এ নিয়ে গ্রামে সালিস বৈঠক করে আপেলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পর থেকে আপেল আলেয়াকে অনৈতিক কার্যকলাপের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।

মঙ্গলবার সকালে বাড়ির লোকজন যে যার কাজে চলে যায়। সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির উঠানের পাশে টিউবওয়েলের পাড়ে আলেয়ার রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। এরপর আপেলকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটি কক্ষে আপেলের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে ধারণা করা হচ্ছে, আপেল কাঠের কাজে ব্যবহৃত ধারালো বাটাল দিয়ে তার মামি আলেয়ার ঘাড়ে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর ওই বাটাল দিয়েই নিজের পেটে আঘাত করে আত্মহত্যা করে। আপেলের মরদেহ উদ্ধারের স্থান থেকে রক্তমাখা বাটাল উদ্ধার করা হয়েছে।

এনআই