রংধনু শপিং লিমিটেড নামের একটি হায় হায় কোম্পানি টার্কি মুরগি পালনের নামে ৩ শতাধিক ক্ষুদ্র খামারিকে আকর্ষণীয় লাভ দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে তাদের বিনিয়োগকৃত প্রায় ৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা-ঢাকা দেয়।

১৫ মে তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে নোটিশ দেওয়ার পরও কথিত কর্মকর্তাদের দেখা মেলেনি। এ অবস্থায় বিক্ষুদ্ধ খামারিরা বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে কয়েক শতাধিক খামারি টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় সকাল থেকে ঠাকুরগাঁও শহরের শান্তিনগর এলাকায় জে কে টাওয়ারের সামনে রংধনু শপিং লিমিটেড কোম্পানি অফিসের সামনে সমবেত হন। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পরও কোম্পানির চেয়ারম্যান  তাজুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবলু রায় অফিসে আসেননি। কেউ কেউ ফোনে যোগাযোগ করলেও তাদের ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

রংধনু শপিং লিমিটেড নামের একটি হায় হায় কোম্পানি ৩ বছর আগে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলার বেকার যুবক ও ক্ষুদ্র খামারিদের ৩ মাসে আকর্ষণীয় লাভ দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে  টার্কি মুরগি পালনে উদ্বুদ্ধ করে। যারা তাদের ফাঁদে পা দিয়েছেন, সেসব খামামির নিকট বিভিন্ন প্যাকেজের নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় রংধনু কর্তৃপক্ষ ।

চুক্তি অনুযায়ী মেয়াদ শেষে পালিত টার্কি নিয়ে লাভসহ পুঁজি ফেরত দেওয়ার কথা ওই কোম্পানির। কিন্তু কাউকে নগদ টাকা না দিয়ে টার্কি সরিয়ে নিয়ে ২-৩ মাস পরের তারিখ দিয়ে কিছু উদ্যোক্তাকে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ধরিয়ে দিয়ে তারা গা ঢাকা দেয় গত এপ্রিলে। অনেককে চেক না দিয়ে পরবর্তীতে চেক দেওয়া হবে বলে সাদা কাগজে চিরকুট ধরিয়ে দেয়। ক্ষুদ্র খামারিরা প্রদত্ত চেক দিয়ে টাকা তুলতে গিয়ে দেখতে পান কোম্পানির অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই।

এ অবস্থায় টার্কি পালনকারী ৩ শতাধিক ক্ষুদ্র খামারি  বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত পেতে প্রতিদিন মূল অফিসে ধরনা দিতে থাকলে কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এই মর্মে নোটিশ টেনে দেয় যে, ১৫ মে চেক গ্রহীতাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

কিন্তু  আজ ১৫ মে বুধবার সকাল থেকে ক্ষুদ্র খামারিরা টাকার জন্য কোম্পানির অফিসের সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু ২টা পর্যন্ত কর্মকর্তারা কেউ অফিসে না আসায় তারা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান এবং অবিলম্বে টাকা আদায়ে ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেন।

এনআই