• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৭, ২০১৯, ০৮:৫৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৭, ২০১৯, ০৮:৫৮ এএম

ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবন, খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবন, খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ১৫ নং ঝাড়গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ ও অফিস কক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের দেওয়ালে ফাটল দেখা দেয়ায় সেটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে  শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। এতে আকাশে মেঘ ডাকলেই শিক্ষার্থীদের ছুটি দিতে হয়। আর তপ্ত রোদে পুড়ে কষ্ট ভোগ করতে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।

১৯০১ সালে স্থাপিত হয় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ১৫ নং ঝাড়গাঁও সরকারি বিদ্যালয়। ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়ের  দুটি ভবনের পুরাতন ভবনটি নির্মিত হয় ১৯৯৬-৯৭ অর্থ বছরে। ২২ বছরের মাথায় ওই বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। 

সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনে দেখা দিয়েছে ফাটল। খসে পড়ছে পলেস্তারা। ধসে পড়েছে ছাদের কিছু অংশ। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর এ বিদ্যালয়টিকে ব্যবহার অনুপযোগী ঘোষণা করেছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নতুন ভবনে পরীক্ষা একই রুমে গাদাগাদি করে নেওয়া হলেও পাঠদান করতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। এ অবস্থায় বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

১৫ নং ঝাড়গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ফজলে রাব্বি ইমন ও সিমন বলে, আমাদের বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং প্রায় সময়ে পলেস্তারা খসে পড়ছে। তাই আমাদের খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হচ্ছে। বর্ষার দিনে আকাশে মেঘ ডাকলেই আমাদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় শ্রেণী কক্ষের অভাবে। তবে গরমের দিনে ঘামে একাকার হতে হয় আমাদের।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এরশাদুল হক জানান, বিদ্যালেয়র পুরাতন ভবনটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় বাবা মায়েরা তাদের সন্তানদের স্কুলে না পাঠানোর কারণে দিন দিন এর শিক্ষার্থী কমছে।

প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, কয়েকদিন পূর্বে  ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যালয়ের একটি ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ায় উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ একটি বিল্ডিং পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় আমরা শ্রেণীকক্ষ সমস্যায় ভুগছি। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসকে অবগত করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মাসুদ রানা বলেন, সদর উপজেলার ঝাড়গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ অবস্থায় উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই এসব বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।

উল্লেখ্য, এরূপ অবস্থা সদর উপজেলার আরো ২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। 

কেএসটি