• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৭, ২০১৯, ০৯:৫৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৭, ২০১৯, ০৯:৫৬ এএম

আক্রান্ত হয়েও টের পান না ডায়াবেটিস রোগী

আক্রান্ত হয়েও টের পান না ডায়াবেটিস রোগী

৫ বছর ধরে সরকারি চাকরিজীবী ইহসাক আলী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যখন ধরা পড়েছিল, তখন চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে মন্তব্য করেছিলেন, ধরা পড়ার অন্তত ১ বছর আগে ইহসাক আলী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন এটি অপ্রকাশিত ছিল, এজন্য টের না পেয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেননি।

এমন ঘটনার শিকার শুধু ইহসাক আলীই নন, দেশে হাজার হাজার ব্যক্তি আছেন। যারা জানেন না, তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কি-না। বড় ধরণের অসুস্থ্যতা ছাড়া দেশের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার অভ্যাস না থাকায় এটা হচ্ছে বলে চিকিৎসকদের ভাষ্য।

আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশন (আইডিএফ) এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির বাংলাদেশের তথ্য বলছে, আক্রান্ত হয়েও প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষই জানেন না যে তিনি ডায়াবেটিস বাহক। 

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির (বাডাস) সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খান দৈনিক জাগরণকে বলেন, মাঠ পর্যায়ে পরিচালিত কার্যাবলি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ডায়াবেটিস আক্রান্ত প্রতি দু'জনের একজন জানেন না যে তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এর মূল কারণ সচেতনতার অভাব। বড় ধরনের অসুস্থতা ছাড়া অধিকাংশ মানুষ শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অভ্যস্ত নন।

ডায়াবেটিসে প্রতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বাড়ছে। উন্নত দেশগুলোর তুলনায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। আইডিএফের ২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪২ কোটি ৫০ লাখ। ১৯৮৫ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ কোটি।

বাডাস বলছে, দেশে বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখেরও বেশি নিবন্ধিত ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে। সারাদেশে ৯০ লাখেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বলে ধারণা প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দশম স্থানে। বৃদ্ধির এ হার অব্যাহত থাকলে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম স্থানে পৌঁছাবে। দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়া রোগটিকে এখনই প্রতিরোধ করা না গেলে আগামী ২০৩৫ সালে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডায়াবেটিসের কারণে প্রতি বছর ৫ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ডায়াবেটিসের কারণে অর্থনৈতিক চাপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়াবেটিসের ওষুধ, ইনসুলিন সব কিছুরই দাম দিন দিন বাড়ছে। এক হিসাবে দেখা গেছে, কেবল ডায়াবেটিসের হার কমাতে পারলে স্বাস্থ্য খাতেই ১১ শতাংশ ব্যয় কমানো সম্ভব।

আরএম/টিএফ