টেকনাফে গ্রেফতারের পর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বহু মামলার তালিকাভুক্ত পলাতক আসামি ও ইয়াবা কারবারি মোহাম্মদ ইব্রাহিম (৩২)  নিহত হয়েছেন। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৩টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ১১ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ, ১৩ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইব্রাহিম শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া এলাকার নুরুল আমিন প্রকাশ বল্লার ছেলে।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, নিহত ইব্রাহিম একজন চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি। তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনসহ বিভিন্ন অপারাধে একাধিক মামলা রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারের পর ইয়াবার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞেসাবাদে ইব্রাহিম জানায় কয়েকদিন পূর্বে ইয়াবার একটি বড় চালান ইঞ্জিন চালিত বোটযোগে মায়ানমার থেকে টেকনাফে আসে। কিছু ইয়াবা বিক্রি হলেও অবশিষ্ট ইয়াবা শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম পাড়া ফিশিং বোট ঘাটের উত্তর পার্শ্বের ঝাউ বাগান সংলগ্ন বেড়ীবাঁধের পশ্চিম পার্শ্বে বালুর চরে মজুদ রয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াবা উদ্ধারের জন্য থানা থেকে অতিরিক্ত অফিসার ফোর্স ঝাউ বাগান সংলগ্ন বেড়িবাঁধে অভিযানে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অনান্য মাদক কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে মোঃ ইব্রাহিম (৩২) গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে এসআই দীপক বিশ্বাস, কনস্টেবল মোঃ শাকিল, কনস্টেবল মোঃ লিটু আহত হয়। পরে মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। 

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসামীদের বিক্ষিপ্তভাবে ফেলে যাওয়া ৩টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ১১ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ, ১৩ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

ওসি প্রদীপ আরও বলেন, গুরুতর আহত ইব্রাহিম (৩২) কে মধ্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানন্তরিত করেন। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।  নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

একেএস