• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০১৯, ০২:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৮, ২০১৯, ০২:২৮ পিএম

৫ মণ মাংস, মাথা ও চামড়া উদ্ধার

সুন্দরবনে ৮ হরিণ হত্যা

সুন্দরবনে ৮ হরিণ হত্যা

বরগুনার পাথরঘাটায় যৌথ অভিযান চালিয়ে হরিণের ৫ মণ মাংস, ২টি মাথা ও ২টি চামড়া জব্দ করেছে বন বিভাগ। হরিণের ৩০টি রানও পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ৮টি হরিণ জবাই করা হয়েছিল।  

শনিবার (১৮ মে) ভোরে পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পদ্মা এলাকার বনফুল গুচ্ছগ্রামের একটি খালে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার থেকে মাংসগুলো জব্দ করা হয়। কোস্টগার্ড ও পুলিশ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

বন বিভাগের পদ্মা এলাকার বিট কর্মকর্তা বদিউজ্জামান সোহাগ জানিয়েছেন, 'গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে পুলিশের সহযোগিতায় বনফুল গুচ্ছগ্রাম এলাকায় অভিযান চালায় বন বিভাগ। এ সময় গুচ্ছগ্রামের একটি খালের ভেতরে থাকা নামবিহীন একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে দুটি করে হরিণের চামড়া ও মাথা, ৫ মণ হরিণের মাংস, দুই বস্তা হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ট্রলারটি জব্দ করা হয়। তিনি আরও বলেন, 'জব্দ করা মাংসগুলো অন্তত ৮টি হরিণের বলে ধারণা করছে বন বিভাগ।'

মাংসসহ জব্দ হওয়া ট্রলারটির মালিক আব্দুর রহমান সিকদার। তার ছেলে ইলিয়াস সিকদার কোস্টগার্ডের বোট চালক। আরেক ছেলে আল হানিফ সিকদার পাথরঘাটা কোস্টগার্ডের সোর্স হিসেবে পরিচিত। স্থানীয়রা ধারণা করছে, এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আব্দুর রহমান সিকদার ও আল হানিফ সিকদার দীর্ঘ দিন ধরে হরিণ শিকার করে মাংস বিক্রি করছে।

পাথরঘাটা কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার সাব. লে. জহিরুল ইসলাম হরিণের মাংস উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ইলিয়াস সিকদার তাদের সাথে কাজ করলেও তার বাবা আবদুর রহমান সিকদার ও ভাই আল হানিফ সিকদারের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। তাছাড়া ইলিয়াস সিকদারকে সাথে নিয়ে গত দুদিন ধরে তারা বঙ্গোপসাগরে অভিযান পরিচালনা করেছেন।

পাথরঘাটা থানার ওসি হানিফ সিকদার জানিয়েছেন, 'জব্দ করা মাংস বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে’। 

কেএসটি