• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০১৯, ০৮:১৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৯, ২০১৯, ০৮:১৬ পিএম

ভিজিডির সঞ্চয়ের টাকা না পেয়ে ইউএনও অফিস ঘেরাও

ভিজিডির সঞ্চয়ের টাকা না পেয়ে ইউএনও অফিস ঘেরাও

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ভিজিডি কার্ডের দুই শতাধিক নারী দুই বছর ধরে খেয়ে না খেয়ে মাসিক ২০০ টাকা হারে সঞ্চয় রাখেন। দুই বছরে প্রত্যেকের নামে জমা হয় ৪ হাজার ৮০০ টাকা। লাভসহ ওই টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯১১ টাকা।

কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস অতিবাহিত হলেও অফিসের বারান্দায় বারবার ধরনা দিয়েও সঞ্চয়ের টাকা পাননি তারা।

সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলনের জন্য রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয় ঘেরাও ও বিক্ষোভ করেন ভিজিডির কার্ডধারী দুই শতাধিক হতদরিদ্র নারী।

পরে ইউএনও দ্রুততম সময়ের মধ্যে সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

জানা গেছে, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় বাংলাদেশ স্যোশাল ডেভেলপমেন্ট একাডেমি (বিএসডিএ) ও ডেভেলপমেন্ট পার্টনার (ডিপি) নামের দুটি এনজিওর বাস্তবায়নে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি ফুলবাড়ী উপজেলায় দুই বছর মেয়াদি ভিজিডি প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়।

উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৫ হাজার ৭৯৯ জন হতদরিদ্র নারীকে জনপ্রতি ৩০ কেজি চাল প্রদানের বিপরীতে পাস বইয়ের মাধ্যমে মাসিক ২০০ টাকা সঞ্চয় জমা নেওয়া হয়। সোনালী ব্যাংক ফুলবাড়ী শাখার ০১০২৭৬৫০ ও ৩৪১৩৮৫১৯ নম্বর হিসাবে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩২০ টাকা জমা হয় দুই বছরে।

কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষে সঞ্চয়ের টাকা হাতে হাতে বিতরণ করলে ছিনতাই হতে পারে এমন অজুহাতে সোনালী ব্যাংক ফুলবাড়ী শাখা থেকে ওই টাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংক কুড়িগ্রাম শাখায় স্থানান্তর করা হয়।

উপজেলার নাগদাহ গ্রামের রহিমা বেগম (৩৭), তালুক শিমুলবাড়ী গ্রামের মজিয়া বেগম (৩৮) ও নাওডাঙ্গা গ্রামের ছপিয়া বেগম (৩৭) বলেন, তাদের প্রত্যেকের ৪ হাজার ৯১১ টাকা করে জমা থাকলেও দিনের পর দিন অফিসে ঘুরেও তারা টাকা পাননি। 

পানিমাছকুটি গ্রামের হাসুমনি বেগম (৩৬) জানান, তার ৪ হাজার ৯১১ টাকা জমা থাকলেও তিনি মাত্র ৪ হাজার ৩০০ টাকা পেয়েছেন।

উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা (অতি. দা.) জয়ন্তী রানীর মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাছুমা আরেফিন জানান, ‘টাকা স্থানান্তরের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ছুটিতে আছেন। তাই জেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুই শতাধিক দরিদ্র নারীর সঞ্চয়ের টাকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।’

এনআই