• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ২১, ২০১৯, ০৯:৫২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২১, ২০১৯, ০৯:৫২ এএম

কলা চাষে স্বাবলম্বী হলোখানার তিন গ্রামের মানুষ

কলা চাষে স্বাবলম্বী হলোখানার তিন গ্রামের মানুষ
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা গ্রামে সারিবদ্ধ কলার বাগান- ছবি: জাগরণ

 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা গ্রামে গেলেই চোখে পড়বে বিস্তৃর্ণ চরাঞ্চল। নদীর পানি শুকিয়ে জেগে উঠা চরাঞ্চলের দিকে তাকালেই দেখা মেলে সারিবদ্ধ কলার বাগান। এসব সারিবদ্ধ ও সু-সজ্জিত কলা বাগানের দিকে দৃষ্টি দিলেই যেন নয়ন জুড়িয়ে যায়।    

জানা যায়, জেলা সদরের হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোব, চর ছাটকালুয়া ও চর হলোখানা গ্রামের অধিকাংশ মানুষের প্রধান পেশা কলা চাষ। এসব গ্রামের ৯০ ভাগ মানুষ কলা চাষের উপর নির্ভরশীল। প্রতি শতকে কলার চারা বপন করা যায় ৬০টি। প্রতিটি গাছ কলা ধরার উপযোগী হতে সময় লাগে ১১ থেকে ১২ মাস। পরিপক্ক হতে সময় লাগে ১৪ থেকে ১৫ মাস। প্রতি পোন কলা বিক্রি হয় ২শ’ ৫০ থেকে ৩শ’ টাকায়। প্রতিটি কলা গাছে খরচ বাবদ ব্যয় ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে।      

কলা চাষী মো. আলতাফ হোসেন (৩২), রাসেল মিয়া (৩৫) ও চাঁন মিয়া (৫০) জানান, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে সবরি কলা চাষ করে আসছি। কলা চাষ অন্যান্য ফসলের চেয়ে অনেক লাভজনক। কলা চাষে অধিক মুনাফা অর্জিত হয়। এটি চাষ করে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ ভালো ভাবেই দিন যাপন করছি। আমাদের কলাগুলি জেলার সমস্ত উপজেলাসহ ঢাকা, বগুড়া ও ঠাঁকুরগাও জেলায় যায়। 

তারা আরও জানান, আমাদের এলাকা যদি বর্ষাকালে বন্যার পানি দ্বারা প্লাবিত না হতো তাহলে আমরা আরও অধিক লাভবান হতাম। বিগত ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় আমরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। যদি এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এবং বন্যা আক্রান্ত না হয় তাহলে আমরা অন্যান্য বারের চেয়ে আরও অধিক মুনাফা লাভ করব।  

এ ব্যাপারো হলোখানা ইউপি চেয়ারম্যান উমর ফারুক বলেন, আমি আশা রাখি কলা চাষের সফলতা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার তরুণ ও বেকার যুবকরা এ পেশায় নিয়োজিত হয়ে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে। 


টিএফ