• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২১, ২০১৯, ১২:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২১, ২০১৯, ১২:৩৬ পিএম

চুয়াডাঙ্গায় ‘দুর্যোগ সহনীয় ঘর’ পাচ্ছেন ২০৯ হতদরিদ্র্র পরিবার

চুয়াডাঙ্গায় ‘দুর্যোগ সহনীয় ঘর’ পাচ্ছেন ২০৯ হতদরিদ্র্র পরিবার

চুয়াডাঙ্গা জেলাতে এবার ২০৯ হতদরিদ্র পরিবারকে সরকারি উদ্যোগে ‘দুর্যোগ সহনীয় ঘর’ নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থ বছরের বিশেষ বরাদ্দে এসব ঘর পাবেন হতদরিদ্র মানুষেরা। এরইমধ্যে ঘর নির্মাণবিষয়ক কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দ বাতিল করে সেই অর্থে হতদরিদ্র মানুষের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী পাঁচ বছরে এ বরাদ্দের তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে দরিদ্রদের এক লাখ ২৫ হাজার নতুন ঘর তৈরি করে দেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, প্রতি ছয় মাসে টিআর খাতে ২০০ কোটি টাকা এবং কাবিটা খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় অর্থ বিভাগ। চলতি বছর দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষের জন্য ৬৪ জেলায় ৬৪ হাজার ঘর নির্মাণ করা হবে। তবে, প্রথম পর্যায়ে এ বছরের জুনের মধ্যে প্রতি জেলায় গড়ে প্রায় ১৮৭টি করে ৬৪ জেলায় ১১ হাজার ৪০৬টি নতুন ঘর নির্মাণ হবে। 

দেখা গেছে, প্রায় ৫০০ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে থাকবে দুটি রুম, একটি করিডোর, একটি বাথরুম ও একটি রান্নাঘর। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা করে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সব কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা সৃষ্টির অংশ হিসেবে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। 

টিআর ও কাবিটা বরাদ্দ নিয়ে নানা সময়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এবং মাঠে দৃশ্যমান উন্নয়ন না হওয়ায় এই কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ সহনীয় এই বিশেষ ঘর পাওয়া ২০৯টি পরিবারের মধ্যে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৫৫টি, আলমডাঙ্গায় ৪৯টি, দামুঢ়হুদা উপজেলায় ৫১টি ও জীবননগর উপজেলায় ৫৪টি। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হবে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা করে।

ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে এ বিশেষ ঘর তৈরির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করা হয়েছে। এতে জেলায় ব্যয় হবে ৫ কোটি ৪০ লাখ ৩২ হাজার ৯৭৯ টাকা।

আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, চলতি অর্থ বছরে গ্রামীণ রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দে এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকারের এটি পাইলট প্রকল্প। 

আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান বলেন, সুবিধাভোগী যাদের ৩ শতাংশ জমি রয়েছে তাদের জমির এই ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। টিআর কর্মসূচির অর্থ দিয়ে আমরা গৃহহীন পরিবারের জন্য টেকসই ও দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ করে দেব।

ইতোপূর্বে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের অধিনে দরিদ্রদের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ১৭৯৮টি সেমি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ২৯৬টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৮৩০টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ৩০০টি ও জীবননগর উপজেলায় ৩৭২টি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। ১ লাখ টাকার মধ্যে প্রতিটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

কেএসটি