• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২১, ২০১৯, ০৫:০৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২১, ২০১৯, ০৫:০৯ পিএম

তাহিরপুরে বন্ধ থাকা ৩ শুল্ক বন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি শুরু

তাহিরপুরে বন্ধ থাকা ৩ শুল্ক বন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি শুরু

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে বন্ধ থাকা ৩টি শুল্ক বন্দর (বড়ছড়া, চারাগাঁও, বাগলী) দিয়ে আবারও কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর থেকে শুরু হওয়া এই কয়লা আমদানি চলবে ৩১ মে পর্যন্ত।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ৩টি বন্দর আবারও চালু হওয়ায় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে খুশির জোয়ার বইছে।

তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম হায়দার কয়লা আমদানি চালুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ডিমাহাসাও জেলা ছাত্র ইউনিয়ন নামের পরিবেশবাদী সংগঠনের আবেদনের ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল দেশটির ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) রাজ্য সরকারকে অবৈধ কয়লা খনি খনন ও পরিবহন বন্ধের নির্দেশ দেয়। একই বছরের ৬ মে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এ ব্যাপারে নির্দেশনা জারি করা হয়। এ কারণে ওই বছরের ১৩ মে থেকে মেঘালয়ের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কয়লা পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর পর থেকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের তিনটি শুল্ক বন্দর বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী দিয়ে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।

এর প্রতিক্রিয়ায় এই শুল্ক বন্দর থেকে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায়ে ধস নামে। এরপর মেঘালয়ের কয়লা রফতানিকারকরা আইনি লড়াই করে ২০১৫ সালের এপ্রিল, মে ও জুনে কয়লা রফতানির সুযোগ পান। পরে এই সময় ৫ দফা বাড়িয়ে উত্তোলিত কয়লা রফতানি করা হয়।

২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তোলিত কয়লা রফতানির সুযোগ দিয়ে নির্দেশনা দেয়। এর পরই ৫০ হাজার টন কয়লা (৫০ কোটি টাকার) আমদানির এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) করেছিলেন বাংলাদেশের  কয়লা আমদানিকারকরা। অথচ কোনো প্রকার নোটিশ বা চিঠি ছাড়াই ১৫ জানুয়ারি কয়লা রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনেক চেষ্টা করেও আমদানিকারকরা বিষয়টির কোনো সুরাহা করতে পারেননি। এ কারণে আমদানিকারকরা চরম হতাশা আর টাকা পাওয়া না-পাওয়া নিয়ে অস্থির ছিলেন।

পরে ভারতের রফতানিকারকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কয়লা উত্তোলন এবং রফতানি করা যাবে কি না সে বিষয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে শুনানির তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি। পরে সেটি আবার পিছিয়ে প্রথমে ২৮ মার্চ এবং পরে ২৪ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ৩১ মে পর্যন্ত উত্তোলিত কয়লা আমদানির সুযোগ দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা চরম আর্থিক ক্ষতি ও মানসিক অস্থিরতা থেকে স্বস্তি পেয়েছেন।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বন্দর থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পায়। হাজার হাজার শ্রমিক ও শত শত ব্যবসায়ী এবং সরকারের রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে এই ৩টি বন্দর চালু রাখার বিষয়ে গুরুত্বসহকারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া খুবই প্রয়োজন।

এনআই