• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ২১, ২০১৯, ০৮:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২১, ২০১৯, ০৮:০০ পিএম

শিক্ষা উপমন্ত্রী সেজে প্রতারণা, অবশেষে গ্রেফতার

শিক্ষা উপমন্ত্রী সেজে প্রতারণা, অবশেষে গ্রেফতার

মো. ওসমান। প্রতারণায় সিদ্ধহস্ত। কখনো শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল, আবার কখনোবা তার ব্যক্তিগত সহকারী। একেকজনকে একেক পরিচয় দিয়ে জাল বোনে প্রতারণায়। তার সেই জালে কেউ কেউ নিজেকে সমর্পণ করে খুইয়েছে লাখ লাখ টাকা। অবশেষে আর শেষ রক্ষা হলো না ওসমানের।

পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর বেরিয়ে আসে তার একের পর এক প্রতারণার কাহিনি। ওসমানকে গ্রেফতারের পর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার পুলিশ মঙ্গলবার (২১ মে) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তার প্রতারণার ফিরিস্তি সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।

পুলিশ জানায়, ওসমান কখনো নিজেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কখনো নওফেলের ব্যক্তিগত সহকারী, আবার কখনো ফেসবুক আইডি খুলে নওফেলের ভাই পরিচয় দিত। নানাভাবে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল সে।

সোমবার (২০ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে নগরের ডবলমুরিং থানাধীন ঈদগাহ এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তার মো. ওসমান (২৬) খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি থানার ডাইনছড়ি মাস্টারপাড়ার আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে। মানিকছড়ির একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর গত ৩ বছর ধরে চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী এলাকায় বসবাস করে আসছিল সে।

পুলিশ জানায়, ওসমান দুটি নতুন সিম কিনে উপমন্ত্রী নওফেল পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের ফোন দেওয়া শুরু করে। তারা তাকে নওফেল ভেবে কুশলাদি বিনিময় করে। গত ১০ মার্চ শ্রমিক লীগের চট্টগ্রামের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মাহবুবুল হক এটলিকে নওফেল পরিচয় দিয়ে দলের সাংগঠনিক কাজের খরচের কথা বলে ৫ লাখ টাকা চায় ওসমান। তবে সন্দেহ হওয়ায় এটলি টাকা না দিয়ে নওফেলের ব্যক্তিগত সহকারী নাজিউর রহমান সিকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ বলেন, ওসমান একেক সময় একেক কণ্ঠস্বরে কথা বলতে পারে। শিক্ষা উপমন্ত্রী পরিচয় দিয়ে কথা বলার সময় খুব গম্ভীরভাবে কথা বলে। আবার উপমন্ত্রীর সহকারী ও ভাই পরিচয় দেওয়ার সময় ভিন্ন ভিন্ন স্বরে কথা বলে ওসমান।

এনআই