• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২২, ২০১৯, ০৬:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২২, ২০১৯, ০৬:৩৫ পিএম

কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে দুদক

অনলাইনে টিকেট ক্রয়ে ব্যাঘাত-রেলমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ

অনলাইনে টিকেট ক্রয়ে ব্যাঘাত-রেলমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ

 

টিকিট কালোবাজারির বিরুদ্ধে আমরা তাদের সতর্ক করেছি। কালোবাজারি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এখানে শুধু অনলাইন টিকিটিং সিস্টেম দেখছি না, সার্বিক দিক দেখছি। সার্বিক বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। পরে সব কিছুই বলা যাবে। আজ দুপুরে কমলাপুর রেল ষ্টেশন পরিদর্শন শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন  এ কথা বলেন।
 
জানা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অ্যাপসের মাধ্যমে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ তদন্তে কমলাপুর রেলস্টেশনে টিকিটের সার্ভার রুমে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের তিন সদস্যের একটি দল দুপুরে কমলাপুর রেলস্টেশনে যায়। এ দলের নেতৃত্ব ছিলেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন।
দুদকের দল অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমের সার্ভারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সার্ভার রুমের কর্মকর্তারা দুদককে জানান, সার্ভার ডাউন হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে গ্রাহকরা অনলাইনে টিকিট কিনতে পারছেন না। ঠিক করার কাজ চলছে।

দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা টিকিট সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে এসেছি। এখানে অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমের সার্ভারের কর্মকর্তারা বলেছেন, সার্ভার ডাউন হয়ে যাচ্ছে। তাই টিকিট পেতে একটু সমস্যা হচ্ছে। সার্ভার ডেভেলপমেন্টের কাজ চলছে।

প্রসঙ্গত, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষকে স্বস্তি দিতে ট্রেনের অর্ধেক টিকিট অনলাইনে দেওয়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। গত ২৮ এপ্রিল রেলসেবা অ্যাপ উদ্বোধন করেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। কিন্তু সার্ভারে ত্রুটি, বিক্রি শুরুর আগেই টিকিট শেষ, টিকিট না দিয়েই টাকা কেটে রাখা, এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ প্রতিদিন রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়েতে জমা পড়ছে।

এসব অভিযোগের কোনো সুরাহা না করেই আজ শুরু হয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। আজ সকাল ৯টা থেকে সার্ভারে ঢুকতে পারেননি অধিকাংশ গ্রাহক। কোনোভাবে প্রবেশ করা সম্ভব হলেও সঙ্গে সঙ্গে সার্ভার থেকে জানানো হচ্ছে টিকিট নেই। আবার অনেকে টিকিটের জন্য টাকা দিচ্ছেন অথচ টিকিট পাচ্ছেন না। আসন নির্বাচন করতে গেলে দেখা যায় কোনো আসন ফাঁকা নেই।

এদিকে অ্যাপসের মাধ্যমে রেলের কাঙ্ক্ষিত টিকিটসেবা দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। একই সঙ্গে এই ব্যর্থতার দায়ও নিজের কাঁধে নিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, অ্যাপসে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সিএনএসের সঙ্গে ২০০৭ সাল থেকে চুক্তি। এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে আর বাড়ানো হবে না। সিএনএসের ব্যর্থতার দায় আমরা এড়াতে পারি না। তাই অবশ্যই সিএনএসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

এইচ এম