• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৪, ২০১৯, ০৬:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৪, ২০১৯, ০৬:০৬ পিএম

টাঙ্গাইলে ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

টাঙ্গাইলে ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলায় মুকুল আকন্দ (৫২) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দায়িত্বরত হাসপাতালের কর্মকর্তা ও ইন্টার্নিরত শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের পরিবারের লোকজন।

শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের ছোট ভাই হুমায়ন আকন্দ রশিদ সোনা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এতে ভুক্তভোগী স্বজনরা চিকিৎসকসহ এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে রাতেই নিহতের মরদেহ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব সম্মুখের সড়ক অবরোধ করেন। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে এই আন্দোলন প্রত্যাহার করেন স্বজনরা।

নিহত মুকুল আকন্দ (৫৫) টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়ার মরহুম তালু আকন্দের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ন আকন্দ রশিদ সোনা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বড় ভাই মুকুল আকন্দকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৪ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাইকে রেফার্ড করে। আমার পরিবারের লোকজন অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে গেলে কর্তব্যরত সজীব নামের ডাক্তার অক্সিজেন খুলে দেন। বারবার অনুরোধ করার পরও তিনি অক্সিজেন আর দেননি। অক্সিজেন দিতে অস্বীকৃতি জানান কর্তব্যরত স্টাফরাও। এরপর ছটফট করতে করতে মারা যান আমার ভাই। এর প্রতিবাদ করলে পরিবারের সদস্যদের একটি কক্ষে আটকে রেখে ডা. সজীবের নেতৃত্বে ১৫-২০ স্টাফ ও ইন্টার্নিরত শিক্ষার্থীরা আমাকে, নিহতের বড় ছেলে মাসুদ আকন্দ, মেজো ছেলে রাসেল আকন্দ, নিহতের বউ হাসিনা বেগম, ভাগনে মিলন আকন্দ, ভাগনি মুক্তি, ভগ্নিপতি শামুসর রহমান এবং প্রতিবেশী শাহাদত হোসেনকে মারধর করে। এরপর ডাক্তার, স্টাফ ও ইন্টার্নিরত শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে আমরা লাশ নিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করি। শুক্রবার আমার বড় ভাইয়ের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।’

তবে এ ঘটনায় ডা. সজীবের অভিযোগ, রোগীর স্বজনরা চড়াও হয়ে চিকিৎসক ও ইন্টার্নি শিক্ষার্থীদের মারপিট করেছে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি সায়েদুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে দ্রুত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এনআই