• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৫, ২০১৯, ০২:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৫, ২০১৯, ০২:৩৪ পিএম

লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবি : রক্ষা পেল চার শতাধিক যাত্রী

লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবি : রক্ষা পেল চার শতাধিক যাত্রী

বরিশালের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ছয়জন শ্রমিক নিয়ে একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। এসময় জুবরাজ-৭ নামক লঞ্চটির তলা ফেটে ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করলে লঞ্চটি দ্রুত চরে উঠিয়ে দেয়। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে ৪শ শতাধিক যাত্রী।

শনিবার (২৫ মে) সকাল ৭টার দিকে বরিশাল-ঢাকা নৌ-রুটের হিজলা উপজেলাধীন ধুলখোলা এলাকার মেঘনা নদীর মিয়ার চর পয়েন্টে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নৌ-পুলিশের হিজলা হিজলা ফাঁড়ির পরিদর্শক বেল্লাল হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে এই ঘটনায় ঘটনায় কেউ নিখোঁজ রয়েছে কিনা সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নন বলে জানিয়েছেন নৌ পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী এমভি জুবরাজ-৭ শুক্রবার রাতে মেঘনা নদীর বামনীর চর এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে। এসময় লঞ্চটি একটি চরে আটকে যায়। দীর্ঘ চেষ্টার পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে অপর একটি লঞ্চের মাধ্যমে জুবরাজ-৭ লঞ্চটি টেনে নামানো হয়।

তিনি জানান, শনিবার সকাল ৭টার দিকে জুবরাজ-৭ মেঘনা নদীর মিয়ার চর চ্যানেলে প্রবেশ করছিলো। ঠিক সেই মুহুর্তে একটি বালুবাহী বাল্কহেড চ্যানেলের মুখে এসে পড়লে দুটির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন বাল্কহেডটি মেঘনা নদীতে নিমজ্জিত হওয়ার পাশাপাশি জুবরাজ-৭ এর সামনের দিক থেকে তলা ফেটে যায়।

ওসি বেল্লাল হোসেন বলেন, তলা ফেটে লঞ্চটির ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করে। এসময় লঞ্চে থাকা চার শতাধিক যাত্রীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিকভাবে লঞ্চটিকে পার্শ্ববর্তী একটি চরে উঠে দিলে যাত্রীরা বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।

ওসি বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাত্রীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসি। পরে অপর একটি লঞ্চে যাত্রীদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে তুলে দেয়া হয়েছে। তবে যে বাল্কহেডটি ডুবে গেছে তার কোন লোকজন এখনো পাওয়া যায়নি। অবশ্য বাল্কহেডটিতে ছয়জন শ্রমিক ছিলো বলে শুনেছি। তারা সবাই তীরে উঠতে পেরেছে কিনা সে বিষয়টি আমরা এখনো নিশ্চিত নই।

বরিশাল নৌ বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে এমভি জুবরাজ-৭ এর মাস্টার বা চালক কারোর সাথেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তাদের মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য দুর্ঘটনা ঘটলেও যাত্রীরা সবাই অখ্যত রয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ নিটার ওই কর্মকর্তা।

কেএসটি