• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৫, ২০১৯, ০৩:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৫, ২০১৯, ০৩:৩৭ পিএম

টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীর মৃত্যু, ৮ পুলিশ প্রত্যাহার

টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীর মৃত্যু, ৮ পুলিশ প্রত্যাহার

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পুলিশের ধাওয়ায় হাকিম (৫০) নামের এক মাংস ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের দাবি, জুয়ার আসর থেকে পালনোর সময় হাকিম আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। তবে পরিবারের দাবি, আটকের পর নির্যাতনের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। 

এদিকে পরিস্থিতি সামলাতে ৮ পুলিশকে প্রত্যাহার করে থানা থেকে লাইনে নেয়া হয়েছে।

নিহত হাকিমের মেরুদণ্ডের হাড়ের পিছেনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গোপালপুর উপজেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.হারুন অর রশিদ।

এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য এসআই আবু তাহের ও এএসআই আশরাফুল আলমের বিচারের দাবিতে হাসাপাতালে মূল ফটকে বিক্ষোভ করেছে এলকাবাসী। ইফতারের পর তারা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় হাসপাতালের ভিতরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় ওসিসহ পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্যকে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে রোকন নামে ১ পুলিশ ও ৫ জন বিক্ষোভকারী আহত হন।

জানা যায়, উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের ঝাওয়াইল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল হাকিম কয়েকজন লোক নিয়ে স্থানীয় একটি জমিতে তাস খেলছিল। এ সময় এসআই আবু তাহের ও এএসআই আশরাফুল আলমসহ একদল পুলিশ অভিযান চালায়। ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করলেও হাকিম দৌড় দেয়। পরে পুলিশ তাকেও আটক করে নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে হাকিমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ওই জায়গাতেই ফেলে আসা হয়। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিযে আব্দুল হাকিমকে মাঠে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে কয়েকজন মিলে হাকিমকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষ্যদর্শী জানান, আমি গরু রাখতেছিলাম। এ সময় এসআই আবু তাহেরের বুটের আঘাতে হাকিম ঢলে পড়ে। ওই অবস্থাতেই তাকে তাহেরের নিজস্ব মাইক্রোবাসে তোলা হয়। কিছুদূর যাওয়ার পর তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। 

গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.হারুন অর রশিদ জানান, মৃত অবস্থাতেই হাকিমকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার মেরুদণ্ডের নিচে আঘাতের কারণে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। 

গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন জানান, জুয়া খেলার সময় ৪ জনকে আটক করা হয়। এ সময় দুই জন পালিয়ে যায়। এদের মধ্যে হাকিম মারা যায়। তবে এ ঘটনায় অভিযানে থাকা ৮ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে লাইনে নেয়া হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

একেএস