• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৬, ২০১৯, ০৮:৪৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৬, ২০১৯, ০৮:৪৬ এএম

ঈদের আনন্দ নেই কৃষকদের মনে

ঈদের আনন্দ নেই কৃষকদের মনে
বাগেরহাট ঈদবাজারে ক্রেতার অপেক্ষায় বিক্রেতারা- ছবি জাগরণ

প্রতি বছর ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে চাঙ্গা হয় গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা। আর এই ঈদের আমেজ ও চাঙ্গা অর্থনীতি থেকে বাদ পড়েনা বাগেরহাটের ৯ উপজেলা। কিন্তু এ বছরধানের দাম কম তাই রমজান শেষ হতে চললেও জমেনি ঈদের বাজার। সাধারণ পরিবার গুলোতে নেই ঈদ আনন্দ। 

বোরো মৌসুমের শুরুতে চাষিরা বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও’র ঋণ ও মহাজনদের কাছ থেকে ধার-কর্য করে চাষাবাদ করেন। মৌসুম শেষে ফসল বিক্রি করে এ ধারকর্য পরিশোধ করেন। কিন্তু এ বছরধানের দাম কম থাকায় ও ফসলের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচের টাকাও ঘরে তুলতে চাষিদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে এলাকার চাষিদের মধ্যে নেমে এসেছে চরম হতাশা। এ বছর ধানের বাম্পারফলন হলেও ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় চাষিদের ঈদের বাজারে নেই আগ্রহ। উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

কুরমনি গ্রামের কৃষক রেজাউল দাড়িয়া, আব্দুল মোমিন শেখ, ডুমুরিয়ার কাকন সর্দার, চৌদ্দহাজী গ্রামের আক্কেল আলী তালুকদার, পাটরপাড়া গ্রামের মুজিবর বিশ্বাস ও শ্যামপাড়া গ্রামের কালাম কাজী সহ অনেক চাষি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বর্তমানে প্রতি মণ ধান সর্বোচ্চ পাঁচশত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের বাজারের জন্য কয়েক মণ ধান বিক্রি করলেও তাদিয়ে তেমন কিছু কেনা যায় না। তাই পরিবারের সদস্যদের জন্য এখনো তারা নতুন কাপড় কেনেন নি।

চিতলমারী গার্মেন্ট ব্যবসায়ী অরূপসাহা, মফিজ মোল্লা, শংকর কর্মকার, কাপড় ব্যবসায়ী টিটন সাহা, কমলেশ সাহা, সিট কাপড় ব্যবসায়ী দিপক সাহা, সনজিত হাজরা জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তারা দেশি-বিদেশি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও ক্রেতার দেখা মিলছেনা। প্রতি বছর এমন সময় জমজমাট কেনাকাটা হলেও এ বছর ঈদের বাজার মোটেই জমেনি।

এ ব্যাপারে শেরে বাংলা ডিগ্রি কলেজে হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক প্রদীপ মণ্ডল জানান, বিগতবছর গুলোতে ঈদকে সামনে রেখে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা চাঙ্গা থাকলেও এ বছর কৃষি প্রধান চিতলমারীতে চাষিরা ফলসের দাম কম পাওয়ায় ঈদের বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

তবে চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান, এ বছর উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ২১টি ব্লকে ২৯ হাজার ৮১৫ একর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ও কোন প্রকার রোগবালাই না হওয়ায় এবার প্রায় ৯০ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়েছে। এ উপজেলায় ৩০ হাজার কৃষক ধান চাষ করেছেন। উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পেলে তাদের কোন অভাব-অনটন থাকার কথা নয়।


টিএফ