• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৬, ২০১৯, ০৬:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৬, ২০১৯, ০৬:৪১ পিএম

শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

বরিশালে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পরে হত্যা করে গলায় ওড়না বেঁধে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৪ মে)  নগরীর কাউনিয়া কালাখার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটলেও রোববার (২৬ মে) দুপুরে বিষয়টি প্রকাশ পায়।

এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বন্ধ ঘরে জানালার পাশে ঝুলন্ত অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর পর নানা নাটকীয়তা শেষে রোববার দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হয়েছে।

নিহত শিশু শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার (১০)। সে কালাখাল বাড়ি’র নূর খলিফার ভাড়াটিয়া দিন মজুর আলমগীর হোসেনের মেয়ে এবং কাউনিয়া আভাস আনন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।

মেয়ের মা মরিয়ম বেগম এর অভিযোগ তার মেয়েকে ধর্ষণের পরে হত্যা করে লাশ জানালার পাশে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এর পেছনে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ায় জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ তার। অবশ্য কারো কারো সন্দেহের তীর শিশুর বাবার দিকে।

মরিয়ম জানান, শুক্রবার সকালে মেয়ে ও শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজে যান। একই সময় শিশুর বাবা আলমগীরও কাজে বের হয়ে যায়। কিছু সময় পরেই ফারজানা ঘরে ফিরে আসে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মরিয়ম ঘরে গিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পান।

মরিয়ম বলেন, ভেতরে প্রবেশ করতেই জানালার পাশে একটি চিকন বাঁশের সাথে মেয়েকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলে থাকতে দেখেন। এসময় সালোয়ারের পেছনে কিছু অংশ ছেড়া ও মুখ থেকে ফ্যানা বের হতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফারজানাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মায়ের অভিযোগ প্রতিবেশী আব্দুস ছালাম তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। কেননা ঘটনার সময় একমাত্র তিনিই ওই বাড়িতে ছিলেন। বাকিরা সবাই বাইরে ছিল। তাছাড়া প্রতিবেশির ঘর এতটাই নিকটে যে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকলে তার ঘোঙ্গানীর শব্দ প্রতিবেশির পাওয়ার কথা। তাছাড়া ছালামের ঘরের পেছনের অংশ থেকে আলমগীরের ঘরে প্রবেশের সুপথ রয়েছে। এমনকি মৃতদেহ উদ্ধারের সময় ছালাম ঘরে থাকা সত্যেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি। বরং তিনি প্রতিবেশি নারীদের এটি আত্মহত্যা নয় বরং স্বাভাবিক মৃত্যু বলতে শিখিয়ে দেয়।

বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি প্রথমে আত্মহত্যা বলে দাবি করা হলেও পরে ধর্ষণ ও হত্যা বলে অভিযোগ ওঠে। তবে সুরতহালে তেমন কোন আলামত মেলেনি। তাই মেডিকেল বোর্ড গঠন করে রোববার ময়না তদন্ত করা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনই বলে দিবে এটি ধর্ষণ, হত্যা নাকি আত্মহত্যা। যদিও এই ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন নিহতের বাবা আলমগীর হোসেন।


কেএসটি