• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৭, ২০১৯, ১০:৪৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৭, ২০১৯, ১০:৪৪ এএম

থানচির একমাত্র মন্দিরের বেহাল দশা  

থানচির একমাত্র মন্দিরের বেহাল দশা  

বান্দরবান পার্বত্য জেলার থানচি উপজেলা সদরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একমাত্র শ্রী শ্রী কালি মন্দির স্থাপনের পর থেকে সংস্কার না করার ফলে মন্দির একদিকে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া, অন্যদিকে নতুন কোন মন্দির গড়ে না উঠার কারণে পূজাসহ প্রার্থনা করতে পারছে না স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভবন, পেগোডা, মসজিদ, গীর্জাসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণে সরকারি অনুদানে সংস্কারসহ নতুন অবকাঠামো তৈরি করে হলেও মন্দিরটির বেহাল দশার কারণে ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় সনাতন সম্প্রদায়ের মাঝে।    

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে বান্দরবান জেলা পরিষদের অর্থায়নে এক তলা পাকা ভবন নির্মাণ করা হলেও ঠিকাদার সংস্থা ভবনের নির্মাণ কাজ নিম্নমানে বাস্তবায়ন করার কারণে কালি মন্দির ভবন নির্মিত হওয়ার পর হতে ছাদে পানি পড়ার কারণে প্রার্থনার প্রতিমা পর্যন্ত  বসানো সম্ভব হয়নি ভবনের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। স্থানীয়রা আরো জানান, ভবনটি রতন কুমার বিশ্বাস ও বর্তমান এলজিইডি ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী রোকন মিঞা যৌথ কাজ করায় এ পরিস্থিতি হয়েছে।

আরো জানা গেছে, ২০১৮/১৯ সালের পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সন্তোষ কর্মকার বলেন, থানচিতে সনাতন সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা কম, আমাদের প্রধান প্রধান পূজাগুলো করে থাকি। তিনি আরো বলেন, মন্দির ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় স্থানীয়দের উদ্যোগে জেলা পরিষদের নির্মিত ভবনের পাশে একটি টিন ছাউনি মন্দির তৈরি করে কোন মতে পূজা কাজ করে থাকি।

শ্রী শ্রী কালি মন্দিরে সাবেক সভাপতি পলাশ মল্লিক, সম্পাদক আঙ্গিয়া কর্মকার জানান, অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে উন্নয়ন হলেও থানচি উপজেলায় এই একটি মন্দির, তবুও মন্দিরটির উন্নয়ন করার সম্ভব হয়নি, ফলে নিয়মিত পূজা করা সম্ভব হচ্ছে না।

কেএসটি