• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৯, ২০১৯, ০৩:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৯, ২০১৯, ০৩:৪৭ পিএম

ডাকসু ভিপি নুরের অভিযোগ

‘হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগের পরিকল্পিত হামলা’

‘হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগের পরিকল্পিত হামলা’


হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগ পরিকল্পিতভাবে হামলা করছে বলে অভিযোগ এনেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নূরুল হক নুর। বুধবার (২৯ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে তার উপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনেন।

নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে নুর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বগুড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলা স্বাভাবিক কোনো ঘটনা না। আমাদের মনে হচ্ছে এগুলো পরিকল্পিত একটি ঘটনা। আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে হামলাগুলো করানো হচ্ছে। 

তিনি বলেন, গত ২৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইফতার মাহফিল ছিল। সেখানে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে ইফতার মাহফিল প্রতিহত করা হয় তখন আমরা রাস্তার পাশে বসে ইফতার করেছি। তার পরের দিন বগুড়ায় আমাদের ইফতার মাহফিল ছিল। বগুড়ায় যাওয়ার আগে তিনি স্থানীয় থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেছিলেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম যে নিরাপত্তা নিয়ে আমরা কিছুটা শঙ্কিত, তারা বলেছেন তারা নিরাপত্তা সহযোগিতা করতে পারবেন না।

তিনি বলেন, এরপর আমরা জেলার অন্যান্য পুলিশের সঙ্গে কথা বললে তারা আমাদেরকে যাওয়ার অনুমতি দেন। অথচ তারা আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আমরা সেখানে জেলা গ্রন্থাগারের সামনে পৌঁছালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে হামলা হয়। তারা জঙ্গি হামলার মতো আমাদের উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে আমি পড়ে গেলে আমার সাথে রাতুলসহ অন্যান্যদের রড দিয়ে পেটায় এবং আমার পায়ে ইট দিয়ে আঘাত করে।

ডাকসু ভিপি বলেন, আমরা জানি ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন। মুসলমানদের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র রমজানে হামলা করে তারা প্রমাণ করছে যে, তারা সাম্প্রদায়িক শক্তিতে পরিণত হচ্ছে। এ সময় তিনি ছাত্রলীগের কার্যক্রম সাম্প্রতিককালের জঙ্গিদের কার্যক্রমের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন, কিছুদিন আগেও তারা বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসব পহেলা বৈশাখে অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা এই ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কার্যক্রমের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনাটিও আমরা ছাত্রলীগ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে মুঠোফোনের মাধ্যমে জানিয়েছি, তারা বলেছেন তারা ব্যবস্থা নিবেন। অথচ পরেরদিনও বগুড়াতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

ছাত্রলীগ হামলা করে করে দায়সারা বক্তব্য দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর পক্ষ থেকে আমাকে এক নম্বর সহ-সভাপতি অথবা এক নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করার ‘অফার’ করা হয়েছিল। বিভিন্ন মাধ্যমে তারা সব সময় আমাকে বলেছিলেন। তারা বলেছিলেন যে, ছাত্রলীগের রাজনীতি করলে আমাকে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। আমি তাদের সাথে যাইনি বলে তারা পরিকল্পিতভাবে আমার উপর হামলা চালাচ্ছে। আমি আমার জীবন নিয়ে শঙ্কিত, নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ছাত্রলীগের নামে যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে, তাদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এমআইআর/আরআই