• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৩, ২০১৯, ০৬:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৩, ২০১৯, ০৬:৪৪ পিএম

লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল ব্যাহত

লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল ব্যাহত

লক্ষ্মীপুর থেকে ভোলা ও বরিশাল নৌরুটে নাব্যতা সংকট ও ডুবোচরের কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা মেঘনা নদীর ডুবোচরে আটকা পড়ে থাকতে হয় ফেরি ও লঞ্চসহ যাত্রীদের। ফলে এই নৌরুটে চলাচলকারী যানবাহন ও ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা পড়েন চরম দুর্ভোগে। ডুবোচরের কারণে নৌকায় করে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে হয়। সামান্য ড্রেজিং করা হলেও তেমন কিছু হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চালক ও যাত্রীরা।

বিআইডব্লিওটিসির কর্মকর্তা বলছেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এদিকে পুলিশ বলছে, নির্বিঘ্নে নিরাপদে ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বজনদের কাছে যেতে পারেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগ রয়েছে, লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীরহাট ডুবোচর খননের কাজ গত এক মাস আগে শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। ড্রেজিং মেশিনের সাহায্যে মাটি কেটে দূরে না ফেলায় আরো কিছু স্থানে নাব্য সংকটসহ ডুবোচর জেগে উঠেছে। এসব জায়গায় ভাটার সময় কোমর পরিমাণ পানি থাকে। ওই পানি দিয়ে ফেরি ও লঞ্চ এমনকি সি ট্রাক চলাচলে আটকে থাকতে হয় জোয়ারের অপেক্ষায়। জোয়ার এলেই নদীতে কিছুটা পানি বাড়ে। এরপর ফেরি ও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।

গত এক সপ্তাহ ধরে এ অবস্থার কারণে লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীরহাট ঘাট থেকে দেড় কিলোমিটার দুড়ে নোঙর করে থাকছে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও সি ট্রাকসহ চলাচলরত ফেরি। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মজুচৌধুরীরহাট ঘাট থেকে যাত্রীরা নৌকা ভাড়া করে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও সি ট্রাকসহ ফেরিতে উঠছেন। তবে সঠিক সময়ে দ্রুত ড্রেজিং করে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক করবেন এমনটাই প্রত্যাশা এ নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রী ও সাধারণ মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে মেঘনার মজুচৌধুরীরহাট লঞ্চঘাটের এক কিলোমিটার দূরে রহমতখালী চ্যানেল ড্রেজিং কাজ চলছে ধীর গতিতে। দিনে কিছু সময় মেশিন বন্ধ রেখে বিকালে ড্রেজিং কাজ করছেন তারা। দ্রুত ড্রেজিং কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন তারা। অপরদিকে ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ না হওয়ায় এখন ভাটায় ডুবোচরে আটকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। তখন চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে ঈদে ঘরমুখো মানুষের।

ফেরি মাস্টার আশরাফুল ইসলাম জানান, যাত্রীসহ গাড়ি নিয়ে ডুবোচরে ১২ ঘণ্টার অধিক সময় লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে আটকে থাকতে হয়। ডুবোচরের কারণে ঠিকমতো ফেরি বা লঞ্চ না পাওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় নৌরুটে চলাচলকারী ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের। ডুবোচরগুলো সঠিক ড্রেজিং হলে দ্রুত যাতায়াতসহ নির্দিষ্ট সময়ে ফেরি গন্তবে পৌঁছানো সম্ভব হতো। 

বিআইডব্লিউটিসির লক্ষ্মীপুরে দায়িত্বরত সহকারী পরিচালক মো. কাউছার হোসেন জানান, নাব্যতা সংকটের কারণে ঠিকমতো ফেরি ও লঞ্চ চলাচল করা যাচ্ছে না। ফেরি ও লঞ্চ চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ঠিকমতো লোড-অনলোড করা যাচ্ছে না। অনেক সময় নদীর ডুবোচরে আটকা পড়ে বসে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এনআই