• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১০, ২০১৯, ০২:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১০, ২০১৯, ০৬:৪৮ পিএম

ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ডিআইজি মিজানের, দুদক পরিচালকের বিরুদ্ধে তদন্ত

ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ডিআইজি মিজানের, দুদক পরিচালকের বিরুদ্ধে তদন্ত
দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসির ও বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজান (বাম থেকে)

নারী নির্যাতনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে দুদক পরিচালকের ঘুষ নেয়ার অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যার মধ্যেই দুদক মহাপরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, আজকের মধ্যে এই কমিটি দুদকের মহাপরিচালকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অবৈধ সম্পদের তদন্ত করতে গিয়ে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির কয়েক দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজান। এরপরই পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানের দাবি, গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ২ মে পর্যন্ত দুই দফায় (প্রথমে ২৫ লাখ, পরে ১৫ লাখ) ঘুষের এই টাকা লেনদেন হয়েছে রমনা পার্ক এবং পুলিশ প্লাজায় অবস্থিত ডিআইজি মিজানের স্ত্রীর কাপড়ের দোকানে। দুদকের ওই পরিচালক ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। এর মধ্যে অবশিষ্ট ১০ লাখ টাকা ছাড়াও তিনি তার সন্তানের স্কুলে আসা-যাওয়ার জন্য একটি প্রাইভেটকারও চান। দুদকের ওই পরিচালক ঘুষের টাকা ব্যাংকে বেনামি অ্যাকাউন্টে রাখার চেষ্টা করেন বলেও দাবি বর্তমানে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত ডিআইজি মিজানের।

প্রায় দুই বছর আগে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা মিললেও এখনো তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এইচএস/আরআই