• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০১৯, ০৩:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১১, ২০১৯, ০৩:৫৬ পিএম

ক্রমাগত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে কঙ্কালসার আবির

ক্রমাগত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে কঙ্কালসার আবির
নানি মঞ্জুরা বেগমের কোলে অজানা রোগে আক্রান্ত আবির  ছবি : জাগরণ

ক্রমাগত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে অজানা রোগে আক্রান্ত চার বছর বয়সী শিশু আবির । শিশুটির চিকিৎসার খরচ মেটাতে না পেরে তাকে নানা-নানির কাছে রেখে পালিয়ে গেছেন অসহায় বাবা-মা। শিশুটিকে বাঁচাতে নানা-নানি মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন, কিন্তু কোনো সাড়া পাচ্ছেন না।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামের দিনমজুর লিয়াকত আলীর স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম জানান, পাঁচ বছর আগে যশোর সদর উপজেলার সাতমাইল এলাকার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে দিনমজুর আল আমিনের সঙ্গে তাদের মেয়ে রত্না খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় আবিরের জন্ম হয়। পরবর্তী সময়ে আপন নামে আরও একটি ছেলের জন্ম দেয় তাদের মেয়ে রত্না খাতুন। জন্মের আট মাস পর স্থানীয় টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে টিকা দেওয়ার পর থেকে থেকে আবিরের প্রচুর খিঁচুনি ও জ্বর শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে নেওয়া হয়েছে তাকে কিন্তু কোনো উন্নতি হয়নি। পরে খিঁচুনি কমলেও শরীর শুকিয়ে যেতে থাকে তার।

তিনি জানান, আবিরের শরীরের সবগুলো হাড় বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে আর শিরাগুলোয় টান ধরেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে হাত-পা নাড়াচড়া করতে পারে না আবির। দেখতে অনেকটা বৃদ্ধ মানুষের মতো।

প্রতিবেশীরা জানান, আবিরের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন, যা দিনমজুর নানা লিয়াকত আলীর পক্ষে কোনোভাবেই জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই শিশুটিকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।

নানা লিয়াকত আলী বলেন, নাতির চেহারা অস্বাভাবিক হওয়ায় কেউ তার কাছে যেতে চায় না। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই তার দেখভাল করেন। স্থানীয় অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। সে দিনে দিনে শুকিয়ে যাচ্ছে। এখন তার খাবার ও ওষুধ কেনা এবং ডাক্তার দেখানোর টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। তিনি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেন। আবিরের বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা যাবে ০১৭৩৪ ৬৪৪৪৯৯ নম্বরে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অপূর্ব কুমার সাহা বলেন, আগে কখনো এমন রোগ দেখিনি। এটা কী ধরনের রোগ বলতে পারব না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে কী কারণে এমন হয়েছে? তবে তিনি জানান, টিকা দেওয়ার কারণে এমনটা হয়নি।

এনআই